এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড: প্রবাসীদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের এক অনন্য উদাহরণ
২০১৩ সালের ২ এপ্রিল সরকারি অনুমোদন লাভের পর, ১৮ এপ্রিল এক উজ্জ্বল যাত্রা শুরু করে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। বিশ্বব্যাপী বসবাসরত অনিবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগ ও উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠাকালে ১০ বিলিয়ন টাকা অনুমোদিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করা এনআরবি ব্যাংক, আধুনিক কোর ব্যাংকিং সফ্টওয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির ১০১ টি শাখা, ৪৫ টি এটিএম বুথ এবং ৫৬৩ জন এজেন্ট ছিল। ২০১৯ সালে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের আমানত ও ঋণের মধ্যে এনআরবি ব্যাংকের অংশগ্রহণ ছিল ০.৬ শতাংশ। এ বছর ব্যাংকের পুঞ্জিভূত আমানত ৩২.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭১,৮৫৭.৯০ মিলিয়ন টাকা এবং ঋণ ও অগ্রিম ২৮.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬২,০১৫.০০ মিলিয়ন টাকা।
ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে, ২০১৯ সালে চলতি মূলধন অর্থায়ন ছিল ৩৪%, ব্যবসা-বাণিজ্য ১৩%, শিল্প ১২%, নির্মাণ ৩৪%, কৃষি, মৎস্য ও বনায়ন ১%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.৩% এবং অন্যান্য ৬%। বছরজুড়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৪৫ মিলিয়ন টাকার প্রবাসী আয় গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালে সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে ব্যাংকের ব্যয় ছিল ২.৮ মিলিয়ন টাকা। শিল্প খাতে প্রদত্ত ঋণ ৫১.৮% বৃদ্ধি পেয়ে ৩৭,৯৮১.৬০ কোটি টাকায় এবং কৃষিখাতে ৬৫.১% বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭৮.৪ মিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে।
২০২০ সালে, ব্যাংকটির মোট আমানত ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ০.২৯% এবং ঋণ ও অগ্রিম ০.৩৩% ছিল। জুন ২০২০ পর্যন্ত আমানত ও ঋণের গড় সুদ ব্যবধান ছিল ৩.৩%। ব্যাংকটি স্থানীয় ও অনিবাসী গ্রাহক, প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষি খাত এবং সবুজ অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। এনআরবি ব্যাংক প্রবাসীদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের এক অনন্য উদাহরণ এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।