চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত এক আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হলেন শাহ আমানত (রঃ)। জনশ্রুতি অনুযায়ী, তিনি বিহার শরীফ থেকে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। আঠারো শতকের শেষভাগে তাঁর আবির্ভাব ঘটে বলে মনে করা হয়। চট্টগ্রামের জজকোর্টে তিনি পাখা টানার কাজ করতেন। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি অনন্য একজন দরবেশ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি অত্যন্ত সরল ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। দিনের বেশিরভাগ সময় তিনি আরাধনায় নিয়োজিত থাকতেন। শাহ আমানত (রঃ) তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতার জন্যও বিখ্যাত ছিলেন। এই ক্ষমতার কথা প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি আরাধনায় মনোনিবেশ করেন। তার মাজার চট্টগ্রামের লালদিঘির পূর্ব দিকে অবস্থিত। মাজার প্রাঙ্গণে বসবাসকারী ও মাজার তত্ত্বাবধানকারী পরিবারটি নিজেদেরকে শাহ আমানতের বংশধর বলে দাবি করে এবং তাদের কাছে শাহ আমানতের পুত্র আনোয়ার খানের একটি ওয়াক্ফনামা রয়েছে বলে জানা যায়। আজও বিভিন্ন সমস্যায় লোকজন তার মাজার জিয়ারত করে তার কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। শাহ আমানত (রঃ) এর জীবন ও কাজ চট্টগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি শুধুমাত্র একজন ধর্মীয় ব্যক্তিই ছিলেন না, বরং সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন।
আমানত
মূল তথ্যাবলী:
- শাহ আমানত (রঃ) চট্টগ্রামের বিখ্যাত দরবেশ ছিলেন।
- তিনি বিহার শরীফ থেকে চট্টগ্রামে এসেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে।
- জজকোর্টে পাখা টানার কাজ করতেন।
- তার মাজার লালদিঘির পূর্ব দিকে অবস্থিত।
- মাজার প্রাঙ্গণে বসবাসকারী পরিবার নিজেদেরকে শাহ আমানতের বংশধর বলে দাবি করে।