উল্লাপাড়া উপজেলা: সিরাজগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ
উল্লাপাড়া উপজেলা বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার একটি প্রধান উপজেলা। পদ্মা ও যমুনা নদীর উপনদীসমূহের পললভূমি অঞ্চলে অবস্থিত এ উপজেলার অবস্থান ২৪°১২' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪°২৬' উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৯°২৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯°৩৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত। ৪১৪.৪৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলার উত্তরে রয়েছে রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা, দক্ষিণে শাহজাদপুর ও পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলা, পূর্বে বেলকুচি ও কামারখন্দ উপজেলা এবং পশ্চিমে তাড়াশ ও পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলা।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
উল্লাপাড়া থানা (বর্তমানে উপজেলা) ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ঐতিহাসিক উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য উপলব্ধ নয়। তবে, ভূ-তত্ত্ববিদদের মতে এই অঞ্চল প্রাচীন বরেন্দ্রভূমির অংশ এবং নদী-বাহিত পলল সঞ্চয়ের ফলে বর্তমান রূপ গ্রহণ করেছে। মুসলিম শাসন ও ব্রিটিশ শাসনকালে নৌপথ ও স্থলপথের মাধ্যমে এটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্র ছিল।
জনসংখ্যা ও অর্থনীতি:
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী, উল্লাপাড়ার জনসংখ্যা ছিল ৫,৪০,১৫৬ জন এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৩০৩ জন। এর অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর, যার মধ্যে ধান, পাট, গম, সরিষা প্রধান ফসল। কৃষির সাথে জড়িত মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
শিক্ষা ও প্রশাসন:
উল্লাপাড়ার শিক্ষার হার ৩২.২২%। এখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকে, যার মধ্যে কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য। উপজেলার প্রশাসনিক কাঠামোতে একটি পৌরসভা, তিনটি থানা, চৌদ্দটি ইউনিয়ন পরিষদ, ২৬৩টি মৌজা এবং ৪৩৩টি গ্রাম রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ:
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে উল্লাপাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ২০শে এপ্রিল, ১৯৭১ সালে ঘাটিনা রেলওয়ে ব্রিজের কাছে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য স্থান:
উল্লাপাড়ায় কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ও ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। তবে, এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন।
উল্লেখ: এই লেখাটি উপলব্ধ তথ্য ভিত্তিক। ভবিষ্যতে আরো তথ্য প্রাপ্ত হলে এটি আরো বিস্তৃত করা হবে।