উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল সংযোগ

উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগে নতুন অধ্যায়: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু

বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে সেতু ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ এই সংযোগকে আরও দ্রুত ও সুন্দর করে তুলবে। তবে, সম্প্রতি জানা গেছে সেতুর নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে।

১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হলে ঢাকার সাথে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়ে যায় এবং সময়ের অপচয় হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই নতুন রেলওয়ে সেতুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেন। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এই প্রকল্পের ৭২ ভাগ অর্থ ঋণ দিয়েছে। নির্মাণ কাজে জড়িত ছিল জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি করপোরেশন, জেএফই এবং টিওএ করপোরেশন।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন রেল সেতু চালু হলে ডাবল লাইনে দ্রুতগতিতে মালবাহীসহ ৬৮টি ট্রেন চলাচল করবে। এটি উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগকে বিপুলভাবে উন্নত করবে এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি করবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসে সেতুর উদ্বোধন হতে পারে। সেতুটির নাম নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

মূল তথ্যাবলী:

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগকে আরও শক্তিশালী করবে।
  • নতুন সেতুটিতে দ্রুতগতিতে ৬৮টি ট্রেন চলাচল করবে, যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে।
  • প্রকল্পটিতে জাপানের জাইকা ৭২% অর্থ ঋণ দিয়েছে।
  • সেতুটির নাম নিয়ে সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
  • আগামী জানুয়ারী অথবা ফেব্রুয়ারীতে সেতুর উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গণমাধ্যমে - উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল সংযোগ

২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

সেতুর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ উন্নত হবে।