উগ্র ডানপন্থীদের বর্ণনা করা কঠিন কারণ এই শব্দটি বিভিন্ন দল ও ব্যক্তিকে বোঝাতে পারে যাদের মতাদর্শ ও লক্ষ্য ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণভাবে, উগ্র ডানপন্থীদের বৈশিষ্ট্য হলো জাতীয়তাবাদ, রক্ষণশীলতা, প্রথাগত মূল্যবোধের প্রতি আগ্রহ, বহিষ্কৃত জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ, অভিবাসন বিরোধিতা, এবং প্রায়শই সরকারের প্রতি অবিশ্বাস।
ইউরোপে উগ্র ডানপন্থী দলগুলির উত্থান সম্প্রতি ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ফ্রান্সের ন্যাশনাল র্যালি (এর নেত্রী মেরিন লে পেন), অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টি, ইতালির ব্রাদার্স অফ ইটালি (জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন), এবং স্পেনের ভক্স পার্টি কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এই দলগুলির অনেকেরই জাতীয়তাবাদী, অভিবাসন-বিরোধী, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি সন্দেহজনক মনোভাব রয়েছে। এদের কিছু দলের অতীতের সঙ্গে ফ্যাসিবাদ ও নাৎসীবাদের সম্পর্কও রয়েছে।
বাংলাদেশেও, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সংঘটিত সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে উগ্র ডানপন্থীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব ঘটনার পেছনে কারা কাজ করেছে এবং কী উদ্দেশ্যে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও তথ্যের সত্যতা যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরণের ঘটনায় ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উগ্র ডানপন্থীদের কর্মকাণ্ড ও প্রভাব অনেক দেশেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করার জন্য ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, ও সামাজিক বিষয়গুলি গবেষণা করা প্রয়োজন।