ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:২৯ পিএম

ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (IDF), যা হিব্রুতে তসাহাল (צה"ל) নামেও পরিচিত, ইসরাইলের জাতীয় সামরিক বাহিনী। ২৬ মে ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী দাভিদ বেন-গুঁরিয়নের নির্দেশে গঠিত হয়। এটি ইসরাইলের স্বাধীনতার ঘোষণার পরপরই গঠিত হয় এবং ইসরাইলের সাথে জড়িত প্রতিটি সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ করেছে।

আইডিএফ তিনটি প্রধান শাখায় বিভক্ত: ইসরাইলি স্থলবাহিনী, ইসরাইলি বিমান বাহিনী এবং ইসরাইলি নৌবাহিনী। এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ, যিনি ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অধীন থাকেন। বর্তমানে হারজি হালেভি ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ থেকে চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রাথমিকভাবে লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক এবং মিশরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আইডিএফ। ১৯৭৯ সালের মিশর-ইসরাইল শান্তি চুক্তি এবং ১৯৯৪ সালের ইসরাইল-জর্ডান শান্তি চুক্তির পর, আইডিএফ এর কার্যক্রম দক্ষিণ লেবানন এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলে (গাজা ও পশ্চিম তীর) কেন্দ্রীভূত হয়।

আইডিএফ বিশ্বের অন্যতম নারী সেনা নিয়োগকারী সামরিক বাহিনী। এটি ইসরায়েলি অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ইসরায়েলি সমাজের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান। আইডিএফ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যার মধ্যে রয়েছে মার্কাভা ট্যাঙ্ক, আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এবং বিভিন্ন অস্ত্র। ১৯৪৮ সাল থেকেই আইডিএফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

আইডিএফকে ১৯৬৭ সাল থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য জানা যায়। এছাড়াও, ফিলিস্তিনে একাধিক যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আইডিএফের বিরুদ্ধে রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (IDF) হল ইসরাইলের জাতীয় সামরিক বাহিনী।
  • ২৬ মে ১৯৪৮ সালে গঠিত হয়।
  • তিনটি প্রধান শাখা: স্থলবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী।
  • নারী সেনাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অনন্য।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
  • ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে।