ইসমাইল হানিয়া (Ismail Haniyeh): ফিলিস্তিনি রাজনীতির এক প্রভাবশালী নেতা
ইসমাইল হানিয়া ছিলেন ফিলিস্তিনি রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, যিনি হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বের অংশ ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে হামাসের নির্বাচনে জয়লাভের পর ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৭ সালের ফাতাহ-হামাস সংঘর্ষের পর তাকে পদচ্যুত করা হয়, কিন্তু তিনি গাজায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যান। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে, হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং কাতারে বসবাস করতে থাকেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তেহরানে তাকে হত্যা করা হয়।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:
হানিয়ার জন্ম ১৯৬২ বা ১৯৬৩ সালে গাজা উপত্যকার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে। তার পরিবার ১৯৪৮ সালের ফিলিস্তিন যুদ্ধের পর আশকেলন থেকে উৎখাত হয়। হানিয়া গাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন:
- হামাসে যোগদান: হানিয়া ১৯৮৭ সালে হামাসের সাথে যুক্ত হন। প্রথম ইন্তিফাদার সময় তিনি বেশ কয়েকবার কারাবন্দি হন।
- প্রধানমন্ত্রীত্ব: ২০০৬ সালের নির্বাচনে হামাসের জয়ের পর, হানিয়া ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
- পদচ্যুতি ও গাজায় শাসন: ২০০৭ সালে, ফাতাহ-হামাস সংঘর্ষের মধ্যে, তাকে পদচ্যুত করা হয়। তিনি গাজায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকেন।
- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান: ২০১৭ সালে, তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
- হত্যা: ২০২৪ সালের জুলাইতে, তেহরানে তাকে হত্যা করা হয়।
মতবিরোধ ও সমালোচনা:
হানিয়া ও হামাসের ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের অবস্থানের কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। অনেক দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে। তবে, হানিয়াকে হামাসের অন্য কিছু নেতার তুলনায় বেশি মধ্যপন্থী হিসেবেও বিবেচনা করা হতো।
উত্তরাধিকার:
ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু ফিলিস্তিনি রাজনীতিতে একটি শূন্যতা তৈরি করেছে। হামাসের ভবিষ্যৎ এবং ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতে তার প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Key Information List