ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (CAO) সম্প্রতি সিরিয়ায় তাদের বিমান চলাচল জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত করেছে। ২৪ ডিসেম্বর, ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। CAO-এর প্রধান হোসেইন পুরফারজানে আইএসএনএকে জানিয়েছেন যে, যে কোন দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য গন্তব্য দেশের অনুমতি প্রয়োজন। বর্তমানে, সিরিয়ায় ফ্লাইট চলাচল ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত অনুমোদিত নয়। সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতৃত্বাধীন অভিযানের ফলে আসাদের পতন এবং এইচটিএস-এর সিরিয়া দখলের পর হাজার হাজার ইরানি নাগরিক সিরিয়া ত্যাগ করেছে এবং দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের সাথে কোন সরাসরি যোগাযোগ নেই এবং ইরানিদের সিরিয়া ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেছে। এর আগে, ২২ ডিসেম্বর একটি ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল যে, সিরিয়ার আকাশপথে ইরানের সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়েছে। CAO এর এই সিদ্ধান্ত ইরান ও সিরিয়ার রাজনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের জটিলতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।
ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন
মূল তথ্যাবলী:
- ইরান সিরিয়ায় বিমান চলাচল জানুয়ারী পর্যন্ত স্থগিত করেছে।
- সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদের পতনের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের প্রধান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
- হাজার হাজার ইরানি সিরিয়া ত্যাগ করেছে।
- ইরান সিরিয়ার নতুন সরকারের সাথে যোগাযোগ করেনি।
গণমাধ্যমে - ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন সিরিয়ায় বিমান চলাচল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।