ইরাকলি কোবাখিদজে: জর্জিয়ার রাজনীতির এক নেতৃস্থানীয় চিত্র
জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে সম্প্রতি বেশ আলোচনায় এসেছেন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদীয় নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ-এর সাথে আলোচনা ২০২৮ সাল পর্যন্ত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণা জর্জিয়ার রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, এবং তিবিলিসি সহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমনে চেষ্টা করে, এবং বিক্ষোভকারী ও সাংবাদিকদের উপর নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠে। জর্জিয়ার ৮০% মানুষ ইইউ-এর সদস্য হতে আগ্রহী বলে জরিপে দেখা গেছে, এবং ৯০ জনের বেশি কূটনীতিকও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
ইউরোপীয় সংসদ জর্জিয়ার অক্টোবরের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আগামী এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে পুনর্নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই কোবাখিদজে ইইউ-এর সাথে আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা দেন এবং ইইউ-এর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলি নতুন সংসদ ও সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন এবং সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল বাতিলের চেষ্টা করছেন। কয়েকটি শীর্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাও নির্বাচনে জালিয়াতির বড় প্রমাণের কথা উল্লেখ করেছে।
জর্জিয়ান ড্রিম দলের বিরুদ্ধে তিবিলিসিকে ইউরোপ থেকে সরিয়ে রাশিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইরাকলি কোবাখিদজের ওপর জর্জিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইইউ-এর সাথে সম্পর্ক, এবং রাশিয়া-পশ্চিম সম্পর্কের জটিলতা প্রভাব ফেলেছে। আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখাটি আরও সমৃদ্ধ করা হবে।