সালোমে জুরাবিশভিলি

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১৬ পিএম

জর্জিয়ার রাজনীতিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া উত্তেজনাকর ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলি। ২০২৪ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির জয়ের পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। জুরাবিশভিলি, যিনি ২০১৮ সালে জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির সমর্থনেই ক্ষমতায় আসেন, পরবর্তীতে দলটির সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০২০ সালের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এবং জুরাবিশভিলিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমাভিমুখী অবস্থানের কারণে এই দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পায়।

অক্টোবরের নির্বাচনকে তিনি 'রাশিয়ার বিশেষ অভিযান' বলে অভিহিত করেছেন। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনকে 'অবৈধ' ঘোষণা করে পার্লামেন্ট বর্জন করে। ২০২৪ সালের ২৯শে ডিসেম্বর, নতুন প্রেসিডেন্ট মিখাইল কাভেলাশভিলি শপথ গ্রহণ করলেও জুরাবিশভিলি তার পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিজেকে 'একমাত্র বৈধ প্রেসিডেন্ট' বলে দাবি করেন এবং নতুন প্রেসিডেন্টকে 'অবৈধ' বলে ঘোষণা করেন। তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ ত্যাগ করলেও, তিনি জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ঘটনাটি জর্জিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। জুরাবিশভিলিকে বর্তমানে জর্জিয়ান রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে, তার বয়স, জাতিগত পরিচয় ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপনাদের জানাব।

মূল তথ্যাবলী:

  • জর্জিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলি ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসেন।
  • ২০২০ সালের পর থেকে জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
  • ২০২৪ সালের অক্টোবরের নির্বাচনকে তিনি 'রাশিয়ার বিশেষ অভিযান' বলে অভিহিত করেছেন।
  • নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পরও তিনি নিজেকে একমাত্র বৈধ প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করেন।
  • তিনি জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।