ইকবাল আহমদ নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, আমরা দুজন ইকবাল আহমদের কথা জানতে পারছি। একজন রাজনীতিবিদ এবং আরেকজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী উদ্যোক্তা।
১। ইকবাল আহমদ চৌধুরী (রাজনীতিবিদ):
ষাটের দশকে প্রগতিশীল ছাত্রনেতা হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ইকবাল আহমদ চৌধুরী। পরবর্তীতে তিনি ন্যাপ ও আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। গত ২৯শে জানুয়ারী তিনি কিডনি সমস্যায় ভোগার পর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মারা যান। তিনি সিলেটে অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন, মেডিক্যাল কলেজ আন্দোলন, বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ৬৮-৬৯ সালের গণআন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক মানুষকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তাঁর বড় ভাই ফারুক চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ১৯৬৫ সালে মতিয়া চৌধুরী ছাত্র ইউনিয়নের সভানেত্রী থাকাকালীন তিনি সে কমিটির সদস্য ছিলেন।
২। ইকবাল আহমেদ (উদ্যোক্তা):
এই ইকবাল আহমেদ একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী উদ্যোক্তা। তিনি ৪ আগস্ট ১৯৫৬ সালে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন এবং বর্তমানে ম্যানচেস্টারে বাস করেন। চিংড়ি ব্যবসায় সাফল্যের পর, তিনি সিমার্ক এবং ইবকোর শিপিং, হোটেল ও রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গড়ে তুলে যুক্তরাজ্যে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান করে নেন। তিনি ১৯৭১ সালে ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং ওয়েস্টমিনস্টারের সিটি কলেজে পড়ালেখা করেন। ১৯৯২ সাল থেকে সেমার্ক গ্রুপের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ওল্ডহ্যামের পরিবারের ব্যবসায়ে যোগদান করেন এবং ম্যানচেস্টারে দ্য বারমোলো এবং সিনাবার নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।
উভয় ইকবাল আহমদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে পরে আপনাদের অবহিত করা হবে।