উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, সাধারণত ইউরো নামে পরিচিত, ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা। ১৯৬০ সালে প্রথম আসরের পর থেকে প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (উয়েফা) এর সদস্য দেশগুলির জাতীয় দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
ইতিহাস:
- ১৯৬০: প্রথম ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ১৯৬৪: স্পেন প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করে।
- ১৯৬৮: ইতালি চ্যাম্পিয়ন হয়, সেমিফাইনালে ইতালি ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মুদ্রা নিক্ষেপের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারিত হয়।
- ১৯৭২: পশ্চিম জার্মানি প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করে।
- ১৯৭৬: চেকোস্লোভাকিয়া পেনাল্টি শুট-আউটে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়, এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবার পেনাল্টি শুট-আউট ব্যবহার করা হয়।
- ১৯৮০: পশ্চিম জার্মানি দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করে।
- ১৯৮৪: ফ্রান্স প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ১৯৮৮: নেদারল্যান্ডস প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ১৯৯২: ডেনমার্ক যুগোস্লাভিয়ার পরিবর্তে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ১৯৯৬: জার্মানি তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ২০০০: ফ্রান্স দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ২০০৪: গ্রিস চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ২০০৮: স্পেন দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ২০১২: স্পেন টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ২০১৬: পর্তুগাল প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ২০২০: ইতালি চ্যাম্পিয়ন হয়।
- ২০২৪: স্পেন ইংল্যান্ডকে 2-1 গোলে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়।
প্রতিযোগিতার বিন্যাস:
- বাছাইপর্ব: উয়েফা সদস্য দেশগুলি বাছাইপর্বের মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।
- চূড়ান্ত পর্ব: চূড়ান্ত পর্বে ২৪টি দল অংশগ্রহণ করে, গ্রুপ পর্বের পর নকআউট পর্বের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হয়।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়কারী দল: স্পেন (৪টি), জার্মানি (৩টি)
- প্রথমবারের জন্য টানা দুইবার শিরোপা জয়: স্পেন (২০০৮, ২০১২)
- সর্বকনিষ্ঠ গোল করার সহকারী: লামিনে ইয়ামাল (২০২৪)
- সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা: লামিনে ইয়ামাল (২০২৪)
আমরা যখন আরো তথ্য পাবো তখন আপনাকে আপডেট করে দেবো।