আয়নাঘর

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

আয়নাঘর: বাংলাদেশের একটি গোপন আটককেন্দ্র

আয়নাঘর নামটি বাংলাদেশের গোপন আটককেন্দ্রের সাথে সম্পর্কিত, যা দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় নির্যাতন ও বলপূর্বক গুমের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এটি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই (DGFI) কর্তৃক পরিচালিত হত বলে অভিযোগ। ১৪ আগস্ট, ২০২২ সালে সুইডিশ ভিত্তিক স্বাধীন সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা আয়নাঘরে বলপূর্বক গুমের শিকারদের আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরে।

প্রতিবেদনে দুইজন গুমকৃত ব্যক্তি হাসিনুর রহমান ও শেখ মোহাম্মদ সেলিমের সাক্ষ্য উল্লেখ করা হয়। তারা ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি গোপন আটককেন্দ্রের কথা বর্ণনা করেন। নেত্র নিউজ তাদের সাক্ষ্যের সাথে আটককেন্দ্রের ছবি ও প্রকাশ করে, যা সক্রিয় কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদের সরবরাহ করা বলে দাবি করা হয়।

আয়নাঘরের অবস্থান সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য স্পষ্ট নয়, তবে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত বলে ধারণা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ডিজিএফআইয়ের কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (CTIB) এই আটককেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়ী ছিল। কমপক্ষে ১৬টি কক্ষ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে একসাথে ৩০ জন বন্দী রাখা সম্ভব ছিল। ১৯ আগস্ট, ২০২৪ সালে, দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশ করে যে, ‘আয়নাঘর’ নিয়ন্ত্রণ করতেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক, যিনি শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা ছিলেন।

আয়নাঘর সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফরের সময় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদিত গুমের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও আয়নাঘর এবং বলপূর্বক গুমের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবি জানায়। বাংলাদেশ সরকার এই অভিযোগগুলিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

আয়নাঘর বাংলাদেশের মানবাধিকারের অবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে এসেছে। এই ঘটনার সম্পূর্ণ সত্যতা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এটি মানবাধিকার উল্লঙ্ঘনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আয়নাঘর একটি গোপন আটককেন্দ্র বলে অভিযোগ রয়েছে
  • ডিজিএফআইয়ের সাথে এর সম্পর্কিত বলে অভিযোগ
  • নেত্র নিউজ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আয়নাঘর সম্পর্কে তথ্য প্রকাশিত হয়
  • ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত বলে ধারণা
  • জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর উদ্বেগ এবং তদন্তের আহ্বান

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আয়নাঘর

৫ জানুয়ারী ২০২৫

আয়নাঘর নির্যাতনের ঘটনাস্থল হিসেবে অভিযুক্ত।

৬ জানুয়ারী ২০২৫

আয়নাঘর গুপ্ত হত্যা ও অত্যাচারের ঘটনার সাথে যুক্ত।

১ জুলাই ২০২৪, ৬:০০ এএম

আয়নাঘর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেখানে অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছিল।