আল জাবের: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
"আল জাবের" নামটি একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই লেখায় আমরা উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী আল জাবেরের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব।
১. শেখ জাবের আল-আহমেদ আল-সাবাহ: কুয়েতের তৃতীয় আমির (৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৭ - ১৫ জানুয়ারী ২০০৬)। ২৯ জুন ১৯২৬ সালে কুয়েত শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কুয়েতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং কুয়েতের বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কুয়েতের অর্থমন্ত্রী ছিলেন এবং কুয়েতি দিনার প্রচলন এবং কুয়েতি মুদ্রা বোর্ড প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন। উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখোমুখি হন। ১৫ জানুয়ারী ২০০৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
২. শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ: কুয়েতের আমির (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ - ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩)। ২৫ জুন ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন কুয়েতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন, যেমন হাওয়ালির গভর্নর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী এবং কুয়েত ন্যাশনাল গার্ডের উপপ্রধান। ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে মনোনীত হন। ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৩. শেখ মেশাল আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ: কুয়েতের বর্তমান আমির (১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে)। ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কুয়েতের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সাথে দীর্ঘ সময় কাজ করেন। ২০২০ সালের ৮ই অক্টোবর ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
৪. জাবির ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে হারামের আল-আনসারী: মুহাম্মদ (সা.) এর একজন বিশিষ্ট সাহাবি। হিজরী ১৫ বছর পূর্বে ইয়াসরিব (বর্তমানে মদীনা) এ জন্মগ্রহণ করেন। প্রায় ১৫৪৭টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। ৬৯৭ খ্রীস্টাব্দ/৭৮ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন।
৫. জাবের ইবনে সামুরা (রা): রাসূলুল্লাহ (স)-এর আরেকজন বিশিষ্ট সাহাবী। হাদীসশাস্ত্রে তাঁর অবদান অতুলনীয়। ১৪৬টি হাদীস বর্ণনা করেছেন।
এই লেখায় উল্লেখিত আল জাবেরদের বিস্তারিত জীবনী এবং কর্মকাণ্ড বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি আরও কোন তথ্য প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা তখন আপনাকে পুনরায় জানিয়ে দেব।