আযম খান

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১২ এএম

আযম খান নামে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ রয়েছে। এই JSON তে দুই আযম খানের তথ্য দেওয়া হলো:

১. আযম খান (বাংলার সুবাহদার):

আযম খান, ইরাদাত খান নামেও পরিচিত, ১৬৩২ থেকে ১৬৩৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার সুবাহদার ছিলেন। তার আসল নাম ছিল মীর মুহম্মদ বাকির। ইরাকের অধিবাসী এই ব্যক্তি জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ভারতে এসেছিলেন এবং জাহাঙ্গীর তাকে 'খান-ই-সামান' পদে নিযুক্ত করেন। পরবর্তীতে তিনি কাশ্মীরের সুবাহদার এবং মীর বখশী পদেও দায়িত্ব পালন করেন। শাহজাহান তাকে 'আযম খান' উপাধিতে ভূষিত করে প্রধান উজির পদে নিযুক্ত করেন। তার শাসনামলে অনেক পারস্যদেশীয় ব্যক্তি বাংলায় আগমন করেছিলেন এবং ইংরেজরা শাসকদের অনুকূলতা পেয়েছিল। তবে আসামের রাজা প্রতাপ সিংহের কামরূপে বারবার আক্রমণের কারণে বাংলার প্রশাসনিক ও সামরিক অবস্থা অস্থির হয়ে পড়ে এবং ফলশ্রুতিতে তাকে সুবাহদার পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ইসলাম খান মাশহাদিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

২. আজম খান (বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী):

আজম খান (মাহবুবুল হক খান), একজন বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, সংগীতশিল্পী, অভিনেতা, ক্রিকেটার এবং বিজ্ঞাপনের মডেল ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের পপ ও রক সংগীতের একজন অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। তার গানে পশ্চিমা ধাঁচের পপগানের সাথে দেশীয় বিষয়বস্তুর মিশ্রণ ছিল। তার কিছু জনপ্রিয় গান হলো 'বাংলাদেশ (রেল লাইনের ঐ বস্তিতে)', 'ওরে সালেকা ওরে মালেকা', 'আলাল ও দুলাল', ইত্যাদি। মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বেশ কয়েকটি গেরিলা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি 'উচ্চারণ' নামক ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন। তিনি ৫ জুন ২০১১ সালে মারা যান।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৬৩২-১৬৩৫ সাল পর্যন্ত বাংলার সুবাহদার ছিলেন আযম খান
  • আসল নাম মীর মুহম্মদ বাকির
  • ইরাদাত খান নামেও পরিচিত
  • আসামের রাজা প্রতাপ সিংহের আক্রমণের কারণে পদচ্যুত হন
  • বাংলাদেশের জনপ্রিয় পপ-রক সংগীতশিল্পী আজম খান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং একুশে পদক পেয়েছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।