আনোয়ারুল আজিম: একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনার বর্ণনা
এই নামটির সাথে সম্পর্কিত একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনা বিদ্যমান। নিম্নে তাদের বর্ণনা করা হলো:
১. এম. আনোয়ারুল আজিম (১৯৩১-১৯৭১): একজন শিল্প প্রশাসক ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবী। ১৯৩১ সালের ১৩ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দিনাজপুর সরকারি জিলা স্কুল, দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজ এবং রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি দিনাজপুর শহরে ‘শক্তি পাঠাগার’ নামে একটি লাইব্রেরি স্থাপন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মজীবনে তিনি নারায়ণগঞ্জের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ, পূর্ব পাকিস্তান শিল্পোন্নয়ন কর্পোরেশন, লতিফ বাওয়ানী জুট মিল, ইপিআইডিসির নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড এবং পাকিস্তান আর্মি কমিশনে (পিএএসআরও) কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক লেবার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালের শেষদিকে তিনি নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেন এবং পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ৫ মে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের কর্মীদের সাথে পাকবাহিনীর গুলিবর্ষণে শহীদ হন।
২. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আনার (৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ — ১৩ মে ২০২৪): বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার একজন রাজনীতিবিদ। ২০১৪ সাল থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন এবং একসময় ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে আব্দুল মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে যোগদান করেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি ভারতে চলে যান। ২০০৯ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের ১৩ মে ভারতের কলকাতায় তাকে হত্যা করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং চরমপন্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ৯টির বেশি মামলা ছিল।
উপরোক্ত দু'জন ছাড়াও, আরো অন্যান্য আনোয়ারুল আজিম নামের ব্যক্তি থাকতে পারেন। সঠিক ব্যক্তি নির্ণয়ের জন্য অতিরিক্ত তথ্যের প্রয়োজন।