আদাবর থানা: ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল
ঢাকা মহানগরীর বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত আদাবর থানা, ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিট। ২৭ জুন, ২০০৭ সালে মোহাম্মদপুর থানার অংশবিশেষ নিয়ে আদাবর থানা গঠিত হয়। এর উত্তরে দারুস সালাম ও শেরেবাংলা নগর থানা, দক্ষিণে মোহাম্মদপুর থানা, পূর্বে শেরেবাংলা নগর ও মোহাম্মদপুর থানা এবং পশ্চিমে সাভার উপজেলা, দারুস সালাম ও মোহাম্মদপুর থানা অবস্থিত। আদাবর থানার আয়তন ২.০৭ বর্গ কিমি এবং জনসংখ্যা প্রায় ৮৬৫৪০ (২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)।
- *ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যাগত বিবরণ:** আদাবর থানার অবস্থান ২৩°৪৫´৪১´´ থেকে ২৩°৪৬´৪১´´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২০´৪৩´´ থেকে ৯০°২২´০১´´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলমান (৮৫২৩৮), হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীও বসবাস করে।
- *অর্থনীতি ও শিল্প:** আদাবর থানার অর্থনীতি মূলত অকৃষি শ্রমিক, ব্যবসা, চাকুরী, নির্মাণ, পরিবহণ এবং যোগাযোগের উপর নির্ভরশীল। গার্মেন্টস শিল্প, ছাপাখানা, স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠের কাজ, বাঁশের কাজ ইত্যাদি কুটিরশিল্প এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদাবর কৃষি মার্কেট উল্লেখযোগ্য একটি বাজার। প্রধান রপ্তানি দ্রব্য হল তৈরি পোশাক।
- *শিক্ষা ও স্বাস্থ্য:** শিক্ষার হার ৬২.২৪%। বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউট একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আদাবর থানায় তিনটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। ব্র্যাক ও ওয়ার্ল্ড ভিশন এর মতো অনেক এনজিও এখানে কাজ করে।
- *যোগাযোগ ব্যবস্থা:** আদাবর থানার মোট সড়কের দৈর্ঘ্য ১৬.৬৬ কিমি। থানার সব ওয়ার্ডেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে এবং বেশিরভাগ পরিবার বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। পানীয় জলের উৎস হিসেবে নলকূপ, পুকুর, ট্যাপ এবং কূপ ব্যবহার করা হয়। স্যানিটেশন ব্যবস্থার দিক থেকেও উন্নতি হচ্ছে।
- *ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান:** আদাবর থানায় ২৫ টি মসজিদ রয়েছে, এর মধ্যে শিয়া মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
- *সংক্ষেপে:** আদাবর থানা ঢাকার উন্নয়নশীল একটি অঞ্চল যা ধীরে ধীরে জনসংখ্যা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং প্রশাসনিক গুরুত্বের দিক থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে।