গত ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের থানা, ফাঁড়ি ও স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫৭৫০টির বেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি গোলাবারুদ লুট হয়। এই ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লুট হওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৩৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৬টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ১৪১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২ লাখ ৬৩ হাজার ১৫৩টি গোলাবারুদ উদ্ধারের বাইরে রয়েছে। মুন্সিগঞ্জে এক তরুণীর হত্যায় লুট হওয়া পিস্তল ব্যবহারের ঘটনা ও মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় লুট হওয়া অস্ত্রের ব্যবহারের সন্দেহ আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদ দাঙ্গি সন্ত্রাসী, জঙ্গি, কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধীদের কাছে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টা চলছে। এছাড়াও, কারাগার থেকে পালানো ৭০০ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি, পিস্তল, শটগান, গ্যাসগান, কাঁদানে গ্যাস লঞ্চার, কাঁদানে গ্যাসের শেল, কাঁদানে গ্যাসের স্প্রে, সাউন্ড গ্রেনেড এবং বিভিন্ন বোরের গুলি রয়েছে। উদ্ধার অভিযানের সাথে সাথে, জেলপলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্যও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৫ আগস্টের ঘটনার পর কারাগার থেকে প্রায় ২০০০ আসামি পালিয়ে যায়, যাদের মধ্যে অনেকেই জঙ্গি, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী। পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষজ্ঞরা যৌথ বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করার, নজরদারি বাড়ানোর এবং সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে তল্লাশি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
মূল তথ্যাবলী:
- ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ৫৭৫০টির অধিক আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছিল।
- ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৩৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৬টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
- এখনও ১৪১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ লাখ ৬৩ হাজার ১৫৩টি গোলাবারুদ উদ্ধারের বাইরে রয়েছে।
- লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধীদের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
- জেলপলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্যও অভিযান চলছে।
গণমাধ্যমে - আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
২০ ডিসেম্বর
যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করেছে।