ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দেশটিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ২ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার দুপুরে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা এই হামলা চালায়। হামলায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং হাইকমিশনের সাইনবোর্ডে আগুন দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর ভারত সরকার দুঃখ প্রকাশ করে এবং নিরাপত্তা জোরদারের আশ্বাস দেয়। তবে বাংলাদেশ সরকার হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে অভিযোগ করে এবং স্থানীয় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে। এই ঘটনার জেরে ঢাকা, কুমিল্লা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। পেট্রাপোল সীমান্ত, বিলোনিয়া ও সিলেট সীমান্তেও ভারতীয়দের প্রতিবাদ দেখা যায়।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এই হামলা চালানো হয়। হামলার ঘটনার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে এবং হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে সাতজনকে গ্রেফতার করে। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা কার্যক্রমও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোমেটিক রিলেশনসের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।