বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের একটি পেশাগত সংগঠন। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ আইনজীবী ও বার কাউন্সিল অর্ডার’ এর অধীনে পুনর্গঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের আইনজীবী ও বার কাউন্সিল (সংশোধনী) আইন ৩৯ এর মাধ্যমে সংশোধিত হয়। এই সমিতির ইতিহাস ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে ভারতীয় উচ্চ আদালত আইন, ১৮৬১ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত উচ্চ আদালতের সাথে জড়িত। কলকাতা উচ্চ আদালত ১৪ মে ১৮৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ঢাকা উচ্চ আদালত (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান উচ্চ আদালত) ভারতের স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭ অনুযায়ী কলকাতা উচ্চ আদালতের উত্তরাধিকারী।
সমিতি বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মাণ ও পানি প্রবাহ রোধের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকারের বিরোধিতার কারণে সমিতির সভাপতিকে আটক করা হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে সভাপতি হাবিবুল ইসলাম ভুঁইয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করেছিলেন। ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সমিতির এক অনুষ্ঠান বয়কট করেন। ২০০৮ সালে প্রধান বিচারপতির ছুটিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। ২০১৯ সালে সমিতির সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারীকালীন আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের সহায়তা করে। একই বছর সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন অ্যাটর্নি জেনারেল হন। ২০২০ সালে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধে মধ্যস্থতার আবেদন জানায়। ২০২১ সালে আব্দুল মতিন খসরু সভাপতি নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুর পর এ এম আমিন উদ্দিন পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে এম মোমতাজ উদ্দিন ফকির সভাপতি এবং আব্দুন নূর দুলুল সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে মাহবুব উদ্দিন খোকন সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে সমিতির নির্বাচন প্রায়শই বিতর্কিত হয়ে থাকে এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে।