অভিযানের স্থানসমূহ

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৩৩ এএম

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) চালানো নির্মম সামরিক অভিযান 'অপারেশন সার্চলাইট' বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করা এবং পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তানের অধীনে রাখা।

অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারা। জেনারেল রাও ফরমান আলী ও জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা ছিলেন এই অভিযানের মূল পরিকল্পনাকারী। ২৫শে মার্চ রাতে একযোগে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু হয়।

'অপারেশন সার্চলাইট' এর মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি সেনাদের নিরস্ত্র করা, আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করা এবং জনগণের মধ্যে ভয়ের এক বাতাবরণ সৃষ্টি করা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, সৈয়দপুরসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনানিবাস এই অভিযানের শিকার হয়েছিল।

এই অভিযানে অজস্র বাঙালি নিহত ও নির্যাতিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ইপিআর সদর দপ্তর, হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য স্থানে গণহত্যা সংঘটিত হয়। অনেকেই ধর্ষণের শিকার হন। অভিযানের নৃশংসতা আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদে পরিণত হয়।

'অপারেশন সার্চলাইট' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটায়। এই অভিযানের ফলে বাঙালি জনগণ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয় এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এই অভিযানের নৃশংসতা ও বর্বরতা আজও বাংলাদেশের জনগণের কাছে অম্লান স্মৃতি হিসেবে বিদ্যমান।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২৫শে মার্চ ১৯৭১ রাতে 'অপারেশন সার্চলাইট' শুরু
  • বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমনই ছিল মূল লক্ষ্য
  • ঢাকা, চট্টগ্রামসহ অনেক শহরে গণহত্যা
  • অজস্র মানুষ নিহত ও নির্যাতিত
  • মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটায় 'অপারেশন সার্চলাইট'

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।