অন্তর মিয়া: এক নাম, একাধিক অপরাধের ছায়া
২৫ বছর বয়সী অন্তর মিয়া। এই যুবকের নামটি চট্টগ্রামের অপরাধ জগতে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি থেকে শুরু করে সর্বশেষ এক সহকর্মীর নির্মম হত্যাকাণ্ড—অন্তরের জীবন অপরাধের এক দীর্ঘ অনুক্রমে পরিপূর্ণ।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের টাইগারপাস আমবাগানে ভাড়া বাড়ি থেকে মুখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিচয় মিলে সালাহউদ্দিন নামে এক টাইলস শ্রমিকের। তদন্তে নেমে পিবিআই জানতে পারে মাত্র পাঁচ হাজার টাকার জন্য অন্তর মিয়া সালাহউদ্দিনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল মজুরি নিয়ে। সালাহউদ্দিন তাদের মজুরি আত্মসাৎ করেছিল।
তিন মাস পরে পিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ে অন্তর। আদালতে সে তার অপরাধ স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি মতে, তার আরেক সহকর্মী আব্দুর রহমানের সাথে মিলে পরিকল্পিতভাবে সালাহউদ্দিনকে হত্যা করা হয়। অন্তর চট্টগ্রাম নগরীতে রিকশা, অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। অটোরিকশা চুরির মামলায় জেল হয়ে ও জামিনে মুক্তি পেয়ে সিলেটে যায়। সেখানে শাহজালালের মাজার ও একটি ফুচকার দোকানে কাজ করার সময় সালাহউদ্দিনের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তারা নির্মাণ কাজে যুক্ত হয়।
অন্তরের বিরুদ্ধে একটি সিএনজি অটোরিকশা চুরির মামলা থাকার কথা জানা যায়। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাটি দেশে প্রচুর চর্চা পেয়েছে এবং অপরাধের সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা উসকে দিয়েছে।