২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত ঘটনা। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটে জয়ী হয়, যদিও নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ অনেকের অভিযোগ ছিল অনিয়ম ও কারচুপির।
তফসিল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা: ৮ই নভেম্বর নির্বাচনের প্রথম তফসিল ঘোষণা করা হয়, যেখানে ২৩শে ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়। পরবর্তীতে তা পিছিয়ে ৩০শে ডিসেম্বর করা হয়। নির্বাচনে মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে এবং প্রায় ১৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গাইবান্ধা-৩ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ফজলে রাব্বি চৌধুরীর মৃত্যুর পর ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত হয় এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৭শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটগ্রহণ ও ইভিএম: দেশব্যাপী ৪০,১৯৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত, ৬টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়।
বিতর্ক ও অভিযোগ: নির্বাচন কমিশন ৮০% ভোটার উপস্থিতির দাবি করলেও, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ করে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টেও নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলা হয়নি। ভোটগ্রহণের আগে রাতেই অনেক কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সে ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনের দিনও বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
ফলাফল: আওয়ামী লীগ ২৮৮টি আসনে জয়ী হয় এবং নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৭টি আসন পায়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ: শেখ হাসিনা, কে এম নুরুল হুদা, কামাল হোসেন, ফজলে রাব্বি চৌধুরী, খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হাছান মাহমুদ।
উল্লেখযোগ্য সংস্থা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, নির্বাচন কমিশন।
এই নিবন্ধে উল্লেখিত তথ্য সীমিত। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করব।