হৃদয় চন্দ্র তারুয়া

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩১ এএম

হৃদয় চন্দ্র তরুয়া (২২): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার জীবনাবসান ঘটে ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ১৮ জুলাই সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে। পিতা রতন চন্দ্র তরুয়া কাঠমিস্ত্রী, মা অর্চনা রানী গৃহিণী। হৃদয় ছিলেন দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছোট। তিনি এসএসসি ও এইচএসসি তে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। স্কুলে তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন এবং গান গাইতে পছন্দ করতেন। হৃদয়ের মৃত্যুতে পরিবারসহ সারাদেশে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। পটুয়াখালী পৌরসভায় তার স্মৃতিরক্ষার্থে 'শহীদ হৃদয় তরুয়া চত্বর' স্থাপন করা হয়েছে। হৃদয়ের মৃত্যুর পর তার পরিবারের সঙ্গে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীরা সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। হৃদয়ের মৃত্যুকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক গভীর ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম নিঝুম দাবি করেন হৃদয়কে পুলিশ গুলি করেনি, ভিড়ের মধ্যে অন্য কেউ তাকে গুলি করেছে।

হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার মৃত্যু রহস্য উন্মোচন এখনও সম্পূর্ণভাবে সম্ভব হয়নি। তার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম নিঝুমের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, পুলিশের গুলিতে নয়, আন্দোলনের ভেতরে ঢুকে পড়া দুর্বৃত্তদের গুলিতে হৃদয় নিহত হতে পারেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবী উঠেছে। হৃদয় চন্দ্র তরুয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন শহীদ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র
  • ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই মৃত্যু
  • কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু
  • পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা
  • এসএসসি ও এইচএসসি তে জিপিএ-৫
  • সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়
  • পটুয়াখালীতে তার স্মৃতিরক্ষার্থে চত্বর স্থাপন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।