ইসরায়েলি বাহিনীর গাজার হাসপাতালে হামলার হুমকি এবং এর পরিণতি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন:
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসনের মধ্যে, ইসরায়েল কর্তৃক গাজার একাধিক হাসপাতালে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকিগুলি বিভিন্ন সময়ে জারি করা হয়েছে এবং বিভিন্ন হাসপাতালকে লক্ষ্য করেছে। বিশেষ করে, আল-কুদস এবং আল-শিফা হাসপাতাল এই হুমকির মুখে পড়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই হাসপাতালগুলো হামাস কর্তৃক সামরিক কার্যক্রম চালানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে, হাসপাতালগুলো বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা ও আশ্রয়ের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য হলো, ইসরায়েল গত কয়েক সপ্তাহে কামাল আদওয়ান হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। এই হামলাগুলিতে অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছে। এই হামলাগুলি আন্তর্জাতিক আইনের উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর হুমকির কারণে, আল-কুদস ও আল-আওদা হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্মী ও রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে, হাসপাতালে আশ্রয় নিয়ে থাকা অনেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর স্থানান্তর একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হচ্ছে। জাতিসংঘ ইসরায়েলকে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর উপর হামলা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছে, কিন্তু পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই হুমকির ফলে গাজার স্বাস্থ্য সেবা আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন জীবিকার উপর তীব্র প্রভাব পড়ছে। এই সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা জরুরী।