স্বপ্না বেগম নামের একাধিক ব্যক্তির কথা বিভিন্ন সংবাদে উল্লেখ রয়েছে। এই নামের ব্যক্তিদের বিভিন্ন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কারণে তাদের ভিন্নতা বুঝে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম স্বপ্না বেগম:
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের বাসিন্দা এক গৃহবধূ। ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি সাপের কামড়ে আহত হন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স ছিল ৩৫ বছর এবং তিনি মো. শাহাদ কাজীর স্ত্রী ছিলেন। ধারণা করা হয়, তিনি বিষধর খৈয়া গোখরা সাপের কামড়ে মারা গেছেন।
দ্বিতীয় স্বপ্না বেগম:
খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চার বছর ধরে রাস্তার পাশে খাস জমিতে ঝুপড়ি ঘরে শিশু সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। তার স্বামী আব্দুর রউফ গাজী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। স্বপ্নার বয়স ৪২ বছর। তিনি ৪ টি সন্তানের জননী এবং দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি দিনমজুর কাজ, ঝিয়ের কাজ এবং নদীতে মাছ ধরার মতো কাজ করে সংসার চালানোর চেষ্টা করতেন।
তৃতীয় স্বপ্না বেগম:
ঢাকার আশুলিয়ায় বসবাসকারী এক নারী, যার বয়স ২৮ বছর। তিনি পারিবারিক বিরোধের জেরে সৎ ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরবর্তীতে তার সৎ ছেলে হিমেল তাকে, তার স্বামী মিজানুর রহমান বাচ্চুকে এবং তার মেয়ে জান্নাতুলকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে।
চতুর্থ স্বপ্না বেগম:
ভোলার লালমোহনে বসবাসরত এক বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূ। ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারী তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। হত্যার দায়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
পঞ্চম স্বপ্না বেগম:
ত্রিপুরার কদমতলায় বসবাসরত একজন নারী যার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সরকারের কাছে ন্যায়বিচার ও সহায়তার দাবিতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে ডেপুটেশন দিয়েছেন।
উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, আমরা যতটুকু তথ্য পেয়েছি তা দিয়ে স্বপ্না বেগম সম্পর্কে এই লেখাটি তৈরি করা হয়েছে। আরও তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই এই লেখাটি আপডেট করা হবে।
স্বপ্না বেগম (স্পষ্টীকরণ)
• নাটোরের এক গৃহবধূ সাপের কামড়ে মারা গেছেন।
• খুলনার এক নারী দারিদ্র্যে জর্জরিত জীবনযাপন করছেন।
• ঢাকার এক নারী পারিবারিক বিরোধে জড়িত হয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।
• ভোলার এক বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূ ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন।
• ত্রিপুরার এক নারীর স্বামীর হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
স্বপ্না বেগম নামের একাধিক নারীর জীবনী ও তাদের সাথে জড়িত বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত লেখা।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)
মো. ফরিদুল ইসলাম, মো. শাহাদ কাজী, ফজলে রাব্বী, আবদুর রউফ গাজী, মরিয়ম, আরিফুল, রকিবুল, মেহেদী হাসান, আমেনা খাতুন, বিল্লাল হোসেন, আবদুস সালাম, মিজানুর রহমান বাচ্চু, তানভীর হাসান হিমেল, তরিকুল ইসলাম তারেক, মোছা. লাবন্য আক্তার, মো. কুদরত-ই-খুদা, আলমগীর, রিয়াজ, নাজিম, আনোয়ার, মফিজুল ইসলাম, দুলাল হোসেন, শুক্কুর আলী, ভানুপদ চক্রবর্তী, আফজাল হোসেন, আব্দুল হেলাল, মোঃ তবিবুর রহমান, মোঃ হাবিবুর রহমান, সবুজ বেপারী, শহীদ বেপারী, মোঃ মাহমুদুর রহমান, তানভীর শেখ, বাবু শেখ, জিসান খান, কাজল, রহিম, আলম শেখ
নাটোর, নলডাঙ্গা উপজেলা, পশ্চিম মাধনগর গ্রাম, বাজেহালতি এলাকা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নাটোর সদর হাসপাতাল, খুলনা, কয়রা উপজেলা, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন, জোড়শিং গ্রাম, আশুলিয়া, উত্তর ভাদাইল এলাকা, নবাবগঞ্জ থানা, বারুয়াখালী এলাকা, জিরাবো এলাকা, ভোলা, লালমোহন, দেওয়ানকান্দি এলাকা, দক্ষিণ ফুলবাগিচা এলাকা, ত্রিপুরা, কদমতলা, ঢাকা, রাজবাড়ী, বিনোদপুর, ফরিদপুর, চর ভদ্রাসন উপজেলা, হরিরামপুর, পদ্মার চর
স্বপ্না বেগম, সাপের কামড়, গৃহবধূর মৃত্যু, দারিদ্র্য, পারিবারিক বিরোধ, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, বাকপ্রতিবন্ধী, ন্যায়বিচার, ত্রিপুরা, নাটোর, খুলনা, ঢাকা, ভোলা, রাজশাহী