স্থানীয় নির্বাচন গণতন্ত্রের এক অপরিহার্য অঙ্গ। এটি জনগণকে তাদের স্থানীয় সরকারের নীতিনির্ধারণে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থানীয় নির্বাচনের ধরন ও পদ্ধতি ভিন্ন হলেও, মূল লক্ষ্য থাকে জনসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়ন ও জনকল্যাণ সাধন করা।
ইউরোপ কাউন্সিলের ইউরোপীয় সনদ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারের অধিকার রক্ষার জন্য মৌলিক নীতি প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সনদ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। কাউন্সিল সদস্য ও আবেদনকারী দেশগুলিতে স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে গণতন্ত্রের অবস্থা মূল্যায়ন করে।
সৌদি আরব ও কুয়েতের মতো দেশে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় সরকারের তুলনায় সহজ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি পানি, বিদ্যুৎ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মতো স্থানীয় সমস্যায় জনমত প্রতিফলিত করে উন্নয়নের পথ সুগম করে।
উন্নত দেশগুলিতে প্রার্থী ও তাদের কর্মসূচী সম্পর্কে জনসাধারণের সঠিক তথ্য পাওয়া ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রভাব কম রাখার চেষ্টা থাকে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি তিন বছর অন্তর দুই স্তরের স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হয়। যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর মে মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার কাউন্টি, বরো, জেলা ইত্যাদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলরদের মেয়াদ সাধারণত চার বছর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাৎক্ষণিক রানঅফ ভোটিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি উঠেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে ছোট দলের প্রার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। মেরিল্যান্ডের টাকোমা পার্কে ১৬ বছর বয়সীরাও পৌর নির্বাচনে ভোট দিতে পারে - যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম। স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয় উন্নয়ন, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ও সুশাসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।