স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড: বাংলাদেশের ঔষধ জগতের এক আধুনিক দিকপাল
১৯৫৮ সালে মাত্র ২০,০০০ টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। আজ, ৬৫ বছর পর, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও স্বনামধন্য ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরী এবং তাঁর তিন বন্ধু কাজী হারুনূর রশীদ, পি. কে. সাহা ও রাধাবিন্দ রায়ের দূরদর্শী স্বপ্নের ফসল এই স্কয়ার।
প্রথম দিকে পাবনায় ছোট পরিসরে কার্যক্রম শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা এবং বাজার। ১৯৭৪ সালে জনসন অ্যান্ড জনসনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উৎপাদন শুরু করে স্কয়ার। ১৯৮৩-৮৪ সালে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন শুরু করে তারা। ১৯৯১ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে যায় স্কয়ার।
বর্তমানে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বিশ্বের ৪২ টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে। তাদের রয়েছে অত্যাধুনিক কারখানা, যা GMP (Good Manufacturing Practices) এবং ISO সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে বাজারের সর্বোচ্চ শেয়ার দখল করে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরীর নেতৃত্বে, স্কয়ার তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে বিস্তৃতির জন্য কাজ করছে। আফ্রিকার কেনিয়ায় কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে পূর্ব আফ্রিকার ওষুধ বাজারে প্রবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে স্কয়ারের।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস মাত্র ২০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে আজ বিশাল একটি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। এই সাফল্য তাদের উৎকর্ষতার প্রমাণ। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেবলমাত্র একটি ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নয়; এটি একটি বহুমুখী ব্যবসায়িক গ্রুপ, যার অধীনে স্কয়ার টেক্সটাইলস, স্কয়ার হসপিটাল সহ আরও অনেক শাখা রয়েছে।