ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই): বাংলাদেশের আর্থিক অবকাঠামোর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকায় অবস্থিত দেশের প্রথম এবং বৃহত্তম শেয়ার বাজার। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ এসোসিয়েশন লিমিটেড নামে যাত্রা শুরু করে, পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে বর্তমান নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জে অবস্থানের পর ১৯৫৮ সালে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয় এবং বর্তমানে নিকুঞ্জে এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর কিছুকাল বন্ধ থাকার পর ১৯৭৬ সালে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
ডিএসই ‘পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি’ হিসাবে নিবন্ধিত এবং ‘সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯’, ‘কোম্পানিজ আইন ১৯৯৪’, ‘সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩’ এবং ২০১৩ সালের ডিমিউচুয়ালাইজেশন অব এক্সচেঞ্জেস আইন অনুসারে পরিচালিত হয়। ১৯৯৮ সালে স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা (Automated Trading System) প্রবর্তনের মাধ্যমে ডিএসই আধুনিকীকরণের পথে অগ্রসর হয়, যা ২০০১ সালে কার্যকর হয়। ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় ডিপোজিটরি সিস্টেমের প্রবর্তন বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করে।
বর্তমানে ডিএসইতে ৭৫০ এর অধিক তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিএসইতে শেয়ার কেনাবেচার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির মালিকানার অংশীদার হতে পারে এবং তাদের লাভের অংশীদার হতে পারে। এছাড়াও, ডিএসই বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোকে তাদের পুঁজি বাজারে তহবিল সংগ্রহ করার সুযোগ প্রদান করে। ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
ডিএসই-এর উন্নয়ন এবং প্রসারের সাথে সাথে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ডিএসই-এর ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে বলে আশা করা যায়।