সুয়ালক, বান্দরবান

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৫৭ এএম
নামান্তরে:
সুয়ালক বান্দরবান
সুয়ালক, বান্দরবান

বান্দরবানের সুয়ালক: একটি ইউনিয়নের পরিচিতি

বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন হল সুয়ালক। প্রায় ১৮,২৮৩ একর (৭৩.৯৯ বর্গ কিলোমিটার) আয়তনের এই ইউনিয়নের ২০২২ সালের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৩,৩৬৭ জন। জনসংখ্যার ধর্মীয় বৈচিত্র্যও লক্ষণীয়; এখানে মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী বসবাস করেন।

ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রতিবেশী এলাকা:

বান্দরবান সদর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সুয়ালক ইউনিয়ন উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। উত্তরে বান্দরবান পৌরসভা, পূর্বে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়ন, দক্ষিণে টংকাবতী ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা, বাজালিয়া ও পুরানগড় ইউনিয়ন অবস্থিত। সুয়ালক খাল এই ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ইতিহাস ও প্রশাসন:

১৯৮৪ সালে বৃহত্তর তারাছা ইউনিয়ন থেকে সুয়ালক ইউনিয়ন গঠিত হয়। সুয়ালক খালের নামানুসারেই ইউনিয়নের নামকরণ করা হয়। সুয়ালক ইউনিয়ন বান্দরবান সদর উপজেলার ৪নং ইউনিয়ন পরিষদ এবং বান্দরবান সদর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ৩০০নং নির্বাচনী এলাকা (পার্বত্য বান্দরবান) এর অংশ।

শিক্ষা ও অবকাঠামো:

সুয়ালক ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৩৯.৬%। এখানে ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম চট্টগ্রাম-বান্দরবান মহাসড়ক। সুয়ালক বাজার এবং মাঝেরপাড়া রাস্তার মাথা বাজার এই ইউনিয়নের প্রধান বাজার।

দর্শনীয় স্থান:

সুয়ালক ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ নয়। এ বিষয়ে আরও তথ্য জোগাড় করে পরবর্তীতে আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বান্দরবান সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন হল সুয়ালক।
  • প্রায় ১৩,৩৬৭ জনের জনসংখ্যা এবং ১৮,২৮৩ একর আয়তন।
  • ধর্মীয়ভাবে বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর বসবাস।
  • সুয়ালক খাল ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
  • ১৯৮৪ সালে গঠিত।
  • ২টি মাধ্যমিক, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক ও ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সুয়ালক বান্দরবান

বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক এলাকার মাঝের পাড়ায় বেনজীর আহমেদের জমি ছিলো বলে সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে।