বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া: একজন ব্যক্তিত্বের বহুমুখী ভূমিকা
সিদ্দিকুর রহমান মিয়া বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যিনি আইন, শিক্ষা এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সভাপতি হিসেবে পরিচিত। তাঁর দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ কর্মজীবন বিচারকালয় থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা পালন পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিচারিক জীবন: বিচারপতি মিয়া ১৯৭৬ সালে মুন্সেফ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে ২০০২ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ২০০৪ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে কর্মরত হন এবং আপিল বিভাগে ও কর্ম করেছিলেন। তাঁর বিচারিক কর্মজীবনে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার সাথে জড়িত ছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ: ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে তিনি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি এক্সচেঞ্জের পরিচালক হিসেবে ও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যান্য ভূমিকা: সিদ্দিকুর রহমান মিয়া এবি ব্যাংকের শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান, সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের সদস্য, সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন।
শিক্ষা ও জীবন: তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি আইন বিষয়ে অনেক বই লিখেছেন।
উপসংহার: সিদ্দিকুর রহমান মিয়া একজন বহুমুখী প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব যিনি আইন, অর্থনীতি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তাঁর দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ কর্মজীবন বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি প্রেরণা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।