সামরিক অভিযান

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৪ এএম
নামান্তরে:
Military operation
সামরিক অপারেশন
অভিযান (সামরিক)
অপারেশন (সামরিক)
সামরিক অভিযান

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) যে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায়, তার নাম অপারেশন সার্চলাইট। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করা এবং পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সরকারের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। অভিযানটির পরিকল্পনা করা হয় ১৮ই মার্চ, এবং ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে তা শুরু হয়। অভিযানটি ব্যাপক গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞের সাক্ষী ছিল, যা মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক পাকিস্তানী ও বাঙালি সামরিক কর্মকর্তা, বিশেষ করে মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী, এর সাথে জড়িত ছিলেন। অভিযানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রাজশাহী, রংপুর, সিলেটসহ পূর্ব পাকিস্তানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর ও স্থানে পরিচালিত হয়। এই অভিযানের ফলে মুক্তিযুদ্ধ আরও তীব্রতর হয় এবং অবশেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। অপারেশন সার্চলাইটের সঠিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনো নির্ণিত হয়নি, তবে অনেক গবেষক এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ও ব্যাপক ক্ষতির কথা উল্লেখ করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২৫শে মার্চ ১৯৭১ সালে অপারেশন সার্চলাইটের সূচনা।
  • বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন এবং পাকিস্তান সরকারের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই ছিল অভিযানের মূল লক্ষ্য।
  • ব্যাপক গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞের ফলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা।
  • মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী অভিযানের প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন।
  • পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান শহর ও স্থানগুলোতে অভিযান পরিচালিত হয়।
  • লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ও ব্যাপক ক্ষতির কারণ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সামরিক অভিযান

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে

ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে ৩২ জনকে নিহত এবং ৯৪ জনকে আহত করেছে। ১৪ মাসব্যাপী অভিযানে ৪৫ হাজার ১২৯ জন নিহত ও ১ লাখ ৭ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন।