সাঁথিয়া থানা

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০২ এএম

সাঁথিয়া থানা: ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা ও তথ্য

বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গত সাঁথিয়া উপজেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র হল সাঁথিয়া থানা। এটি কেবলমাত্র একটি থানা নয়, বরং পাবনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশাসনিক ইউনিট, যা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসাধারণের সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইতিহাস: ব্রিটিশ শাসনামলে, লর্ড ওয়ারেন হেষ্টিংসের আমলে ১৯১৯ সালে সাঁথিয়া থানার সূচনা হয়। ১৯৬০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের শাসনামলে এটি উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সাঁথিয়াকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।

ভৌগোলিক অবস্থান: সাঁথিয়া থানার চারপাশে অবস্থিত অন্যান্য থানা/উপজেলাগুলি হলো: উত্তরে ফরিদপুর ও শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ), দক্ষিণে সুজানগর, পূর্বে বেড়া এবং পশ্চিমে পাবনা সদর ও আটঘরিয়া। এটি বড়াল ও যমুনা নদীর কাছাকাছি অবস্থিত।

জনসংখ্যা ও অর্থনীতি: সাঁথিয়া উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩,২৩,৯৩২। উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। জনগোষ্ঠীর অনেকে কৃষি, হাঁস-মুরগি ও দুগ্ধ খামার, গরু-ছাগল পালন, এবং তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত। বেঙ্গল মিট নামক একটি বড় মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান উপজেলায় অবস্থিত, যা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পেঁয়াজ চাষের জন্য সাঁথিয়া অঞ্চল খ্যাত।

যোগাযোগ ব্যবস্থা: সাঁথিয়া থানা পাবনা শহরের সাথে সড়কপথে যুক্ত।

প্রশাসন: থানার অধীনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে পুলিশ বাহিনী। থানা কর্মকর্তারা জনগণের বিভিন্ন সেবা প্রদানে নিয়োজিত। এছাড়াও থানার অধীনে অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সাঁথিয়া থানা অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখানে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, এবং অনেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯১৯ সালে স্থাপিত সাঁথিয়া থানা পাবনা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র।
  • কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ও বেঙ্গল মিটের মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের অবস্থান।
  • ১৯৮৩ সালে উপজেলায় উন্নীত।
  • মুক্তিযুদ্ধে সাঁথিয়া থানা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সাঁথিয়া থানা

27/12/2024

সাঁথিয়া থানা এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে।