শিফান মল্লিক

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:৪৯ এএম

৩১ ডিসেম্বরের রাতের ঘটনায় দগ্ধ শিশু শিফান মল্লিক

২০২৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের রাতে ঢাকায় নতুন বছর বরণের আয়োজনে পটকা ও আতশবাজি ফোটানোর সময় দগ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে একজন হলেন ১২ বছর বয়সী শিফান মল্লিক। ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, আতশবাজি ফোটানোর সময় শিফান মল্লিকসহ আরও চারজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শিফানের শরীরের ১% পুড়েছে, অন্যদের শরীরের ১-২% পুড়েছে। তাদের সকলকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় শিফান ছাড়াও আট বছরের ফারহান নামের এক শিশু ১৫% শরীর পুড়ে গেছে এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছে। অন্য দুই দগ্ধ ব্যক্তি ২০ বছর বয়সী সম্রাট এবং ৪৩ বছর বয়সী শান্ত, এবং ৩ বছরের তাফসির। তাদের সকলের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ফারহান ছাড়া বাকিদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পটকা ও আতশবাজি:

উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ঢাকায় ব্যাপকভাবে এগুলি ফোটানো হয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিল। গত বছরও একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিল এবং ফানুস মেট্রোরেলের লাইনে আটকে গিয়েছিল। এইবারও কিছু ফানুস লাইনে পড়লেও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।

জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া:

পটকা ও আতশবাজির বিকট শব্দে শিশুদের কষ্ট, প্রাণীদের ভোগান্তি এবং বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের সমস্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই একে 'অমানবিক উচ্ছ্বাস' বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এই ঘটনায় শিফান মল্লিকের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে, আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ৩১ ডিসেম্বরের রাতে পটকা ও আতশবাজি ফোটানোর সময় দগ্ধ হয়েছেন ১২ বছর বয়সী শিফান মল্লিক।
  • শিফানের শরীরের ১% পুড়েছে।
  • ঘটনাস্থলে আরও তিন শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়।
  • আতশবাজি ও পটকা ফোটানোতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ঢাকায় ব্যাপকভাবে এগুলি ফোটানো হয়েছে।
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শিফান মল্লিক

31/12/2024

শিফান মল্লিক নামে ১২ বছরের শিশুটি পটকা বিস্ফোরণে ১% পুড়ে গেছে।