আতশবাজি

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৫৫ এএম
নামান্তরে:
Fireworks
Firework
Pyrotechny
Fireworks display
Firework display
Firework show
Fireworks show
Different firework colors
Crossette
History of fireworks
আতশবাজি

আতশবাজি: রঙিন আলো আর শব্দের খেলা

আতশবাজি, নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে রঙিন আলোর ঝলকানি আর কানে বাজে শব্দের তীব্রতা। এই আতশবাজি আসলে নিম্নমাত্রার বিস্ফোরক (pyrotechnics), যা নান্দনিক এবং বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। মূলত চারটি প্রাথমিক প্রভাব রয়েছে আতশবাজিতে: শব্দ, আলো, ধোঁয়া এবং ভাসমান উপকরণ। লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, বেগুনি এবং রুপোলিসহ নানান রঙের ঝলকানি সৃষ্টি করে এরা। বিশ্বজুড়ে উৎসব, খেলাধুলা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আতশবাজির ব্যবহার চোখে পড়ে।

চীন থেকে আতশবাজির যাত্রা

আতশবাজির উদ্ভাবন হয়েছিল চীনে। প্রাথমিকভাবে অশুভ আত্মাকে ভয় দেখানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হতো। চীনা নববর্ষ, মধ্য-শরৎ চাঁদ উৎসব এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে আতশবাজির ব্যবহার প্রচুর। দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অজস্র পর্যটক চীনে ভিড় করেন। চীন বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম আতশবাজি প্রস্তুতকারক এবং রফতানিকারক দেশ। খ্রিস্টপূর্ব ২ শতকে চীনারা ফাঁপা বাঁশের ডাল আগুনে নিক্ষেপ করে আতশবাজির মতো শব্দ তৈরি করত। পরবর্তীতে বারুদ ব্যবহার শুরু হয়। হান রাজবংশের আমলে (২০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ২২০ খ্রিস্টাব্দ) বাঁশের কাণ্ডকে আগুনে ছুড়ে মারার মাধ্যমে উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করা হতো। সং রাজবংশের আমলে (৯৬০-১২৭৯) সাধারণ মানুষ বাজার থেকে আতশবাজি কিনতে পারত। ১১১০ সনে সম্রাট হুইজং তার রাজদরবারে বিশাল আতশবাজির আয়োজন করেন।

ইউরোপে আগমন এবং জনপ্রিয়তা

১৪শ শতকে আতশবাজি ইউরোপে আসে, তবে ১৭শ শতকে তা জনপ্রিয়তা লাভ করে। পিটার দ্য গ্রেটের রাষ্ট্রদূত লেভ ইজমেলভ চীনের আতশবাজি সম্পর্কে ইউরোপে রিপোর্ট করেছিলেন যে ইউরোপের কেউ এমন আতশবাজি আগে কখনো দেখেনি। ১৭৫৮ সালে, জেসুইট ধর্মপ্রচারক পিয়ের নিকোলাস লে চেরন ডি'আইঙ্কারভিলি বেইজিং থেকে চাইনিজ আতশবাজি তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে লিখেছিলেন। উনিশ শতক এবং আধুনিক রসায়নের আবিষ্কারের পূর্বে আতশবাজি ছিল তুলনামূলকভাবে নিস্তেজ। ১৭৮৬ সালে বার্থোলেট পটাশিয়াম ক্লোরেটের সাহায্যে বেগুনি রঙ তৈরির আবিষ্কার করেন। ধাতব ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়ামের আবিষ্কার তীব্র রৌপ্য আলো উৎপন্ন করার পথ সুগম করে।

আতশবাজির রঙ ও উপাদান

আতশবাজির রঙ সাধারণত পাইরোটেকনিক স্টার দ্বারা উৎপন্ন হয়। লিথিয়াম মাঝারি লাল, রুবিডিয়াম ভায়োলেট-লাল রঙের জন্য ব্যবহৃত হয়। স্পার্কের রঙ লাল/কমলা, হলুদ/সোনালী এবং সাদা/রুপোলির মধ্যে সীমাবদ্ধ।

আতশবাজির ঝুঁকি ও নিরাপত্তা

আতশবাজির অপব্যবহার বিপজ্জনক। আগুনের ঝুঁকি, শব্দ দূষণ, পাখি ও পশুদের উপর ক্ষতিকর প্রভাব হলো এর ক্ষতিকর দিক। অনেক দেশে আতশবাজির ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। বাংলাদেশেও আতশবাজির কারণে প্রতিবছর অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার সংখ্যা উদ্বেগজনক। সুতরাং সাবধানতা ও সচেতনতার মাধ্যমে আতশবাজির ব্যবহার করা জরুরি।

মূল তথ্যাবলী:

  • আতশবাজি হলো নিম্নমাত্রার বিস্ফোরক যা নান্দনিক ও বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
  • চীন আতশবাজির উদ্ভাবক এবং বিশ্বের বৃহত্তম প্রস্তুতকারক।
  • আতশবাজির প্রাথমিক প্রভাব: শব্দ, আলো, ধোঁয়া এবং ভাসমান উপকরণ।
  • আতশবাজির অপব্যবহার বিপজ্জনক এবং আগুনের ঝুঁকি, শব্দ দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি করে।
  • অনেক দেশে আতশবাজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আতশবাজি

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

নতুন বছরের আগমনে ঢাকার আকাশে আতশবাজি ফুটে উঠেছে।

১ জানুয়ারী ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নতুন বছরের উদযাপন হয়েছে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

নববর্ষ উদযাপনকালে আতশবাজির ফলে দুটি শিশু দগ্ধ হয়েছে।

১ জানুয়ারী ২০২৫

নববর্ষের আগমনে ঢাকা শহরে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো হয়েছে।

১ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

নববর্ষ উদযাপনের সময় আতশবাজি ফোটানোর ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০০ জনের বেশি মানুষ গ্রেফতার হয়েছে।

১ জানুয়ারী ২০২৫

এই দেশে নববর্ষ উদযাপনের সময় আতশবাজির কারণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

১ জানুয়ারী ২০২৫

সিডনি শহরে নববর্ষের আতশবাজি প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয়।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

বিভিন্ন দেশে আতশবাজির মাধ্যমে নতুন বছর বরণ করা হয়েছে।

আতশবাজির অপব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণ ও মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।

অবৈধ আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালায়।

১ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

আবুধাবিতে নববর্ষের আতশবাজি অনুষ্ঠানে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করা হবে।

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

বুলবুল নামক ব্যক্তির আতশবাজির কেনাকাটা নিয়ে প্রথম আলো প্রতিবেদন করেছে।

১২/২৯/২০২৪

আতশবাজি বিক্রয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার

30/12/2024

থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা রয়েছে।

১ জানুয়ারী ২০২৫

নতুন বছরের আগমনে ঢাকার আকাশ আতশবাজিতে রঙিন হয়ে উঠে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

সাবরিনা পড়শী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আতশবাজি ফোটানোর বিরুদ্ধে পোস্ট করেছেন, পশু-পাখির কথা চিন্তা করে।

৩১-১২-২০২৪

আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর কারণে রাজধানীতে শব্দ দূষণের ঘটনা ঘটে।

১ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

অস্ট্রেলিয়ায় নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আতশবাজি প্রদর্শনী

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস উৎসব নিয়ন্ত্রণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৩১/১২/২০২৪

নববর্ষের আতশবাজির শব্দে ভয়ে মারা গেছে

১ জানুয়ারী ২০২৫

নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক আতশবাজি ফোটানো হয়েছে।

আতশবাজির ফুলকি থেকে আগুন লেগে ঘরের মালামাল পুড়ে গেছে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

নববর্ষের আতশবাজিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

আতশবাজি ও উচ্চশব্দে বিরক্ত হয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।