শফি কামাল মিন্টু: তানোরের ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেফতার ও হত্যাচেষ্টার মামলা
রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফি কামাল মিন্টু সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। তাকে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ রোববার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গ্রেফতারের কারণ:
শফি কামাল মিন্টুকে গ্রেফতারের পেছনে প্রধান কারণ হলো তানোর থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যাচেষ্টার মামলা। গত ১৫ ডিসেম্বর তানোরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ৮ দিন পর এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৫ নম্বর আসামী হিসেবে শফি কামাল মিন্টুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৫ জনের নামধারী নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছেন গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি সেলিম রেজা।
আইন-শৃঙ্খলা সভায় বক্তব্য:
গ্রেফতারের আগে, রোববার সকালে তানোর উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা সভায় শফি কামাল মিন্টু তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত গায়েবি মামলার ব্যাপারে বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
অন্যান্য আসামিরা:
এই হত্যাচেষ্টার মামলার অন্যান্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন: তোফায়েল হোসেন (ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও ইউপি মেম্বার), সোহেল রানা (উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ইমরুল হকের ভাই), রেজাউল ইসলাম (তানোর পৌর যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক) এবং তৌহিদুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ সমর্থক)।
তানোর থানার ওসি মিজানুর রহমান মিজানের বক্তব্য:
তানোর থানার ওসি মিজানুর রহমান মিজান জানান, শফি কামাল মিন্টু নিয়মিত মামলার আসামী এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠিয়েছেন।
বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ১৫ ডিসেম্বর তানোরে বিএনপির দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের পর এই হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের হয়। এই সংঘর্ষের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা শীঘ্রই এই অংশটি আপডেট করব।
উল্লেখ্য: এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র উপলব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর প্রতিবেদনটি আরও সম্পূর্ণ করা হবে।