সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ: ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও বিতর্কের ইতিহাস
সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ, নাম শুনলেই অনেকের মনে উঠে আসে ঐতিহাসিক স্মৃতির ছবি। কিন্তু সম্প্রতি এই মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে হকারদের দখলে থাকার কারণে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই লেখায় আমরা রেজিস্ট্রারি মাঠের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বিতর্ক, এবং সম্প্রতি মাঠটি হকারদের দখলমুক্ত করার ঘটনাটি তুলে ধরবো।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
দুর্ভাগ্যবশত, উপলব্ধ তথ্যে রেজিস্ট্রারি মাঠের সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক তথ্য নাই। এই মাঠের ঠিক কবে থেকে ব্যবহার শুরু হয়েছিল, কী কী ঐতিহাসিক ঘটনা এখানে সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। আমরা যখন আরো তথ্য পাবো, তখন এই লেখাটি আপডেট করবো।
বিতর্ক ও দখলমুক্তকরণ:
প্রায় ৩০ বছর ধরে হকাররা রেজিস্ট্রারি মাঠ দখল করে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে প্রায়ই রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ও হকারদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক একটি সংঘর্ষের পর সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মীমাংসার দায়িত্ব নেন। ঈদুল ফিতরের আগে তিনি দুই পক্ষের সালিস বৈঠক করেন, এবং হকারদের মাঠ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। ঈদের পর হকাররা স্বেচ্ছায় মাঠ ছেড়ে যায়। গতকাল, সোমবার, দুপুর ১২টায় মাঠটি আনুষ্ঠানিকভাবে দখলমুক্ত ঘোষণা করা হয়। সাবেক মেয়র কামরান, জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীনসহ অনেকেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
রেজিস্ট্রারি মাঠ দখলমুক্ত হওয়ার পর, এখন মাঠের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে। সাবেক মেয়র কামরান জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী সিলেটে আসলে মাঠটি পরিদর্শন করবেন এবং তার নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপসংহার:
সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠের ঐতিহাসিক তথ্য জানা দরকার, কিন্তু বর্তমানে তা উপলব্ধ নয়। যদিও মাঠটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল, এখন দখলমুক্ত হওয়ায় এটি নগরবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে আবার ব্যবহৃত হবে।