রিফাত রশীদ: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেতার জীবনের ঝলক
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন রিফাত রশীদ নামে একজন ব্যক্তি বেশ আলোচিত হয়েছিলেন। তিনি এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, রিফাত রশীদ নামে একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারেন, তাই এই নিবন্ধে উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত রিফাত রশীদ সম্পর্কেই আলোচনা করা হবে।
আন্দোলনের সময় তাঁকে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পাঁচ দিন পর তাঁকে আত্মগোপনে থাকার কথা জানা যায়। তার ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, তিনি ‘গুম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন’। তিনি সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত মেনে নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানান। তাঁর ফোন ট্র্যাকিং-এর শিকার হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন।
রিফাত রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন বলে জানা যায়। তার বাবা দেলোয়ার হোসেন তাঁর সাথে যোগাযোগের কথা নিশ্চিত করেছেন। আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়কদের মধ্যে আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের নামও উল্লেখযোগ্য। তাদেরকে ও নিখোঁজ করা হয়েছিল এবং পরে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়। আসিফ মাহমুদকে হাতিরঝিল ও আবু বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়কেরা ও সরকারের প্রতি সন্ধান দাবি করেন। আসিফের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তাঁর ছেলের সন্ধান করেন।
আন্দোলনের অন্য একজন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকেও খিলগাঁও নন্দীপাড়া থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পূর্বাচল এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় বলে তিনি জানান। তাঁর উপরও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল বলে জানা যায়।
এই ঘটনাগুলি কোটা আন্দোলনের সময় ঘটেছিল এবং এটি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। রিফাত রশীদ এবং আন্দোলনের অন্যান্য নেতাদের অভিজ্ঞতা এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও তৎকালীন পরিস্থিতির একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে।