মো. শহিদুল আলম নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, এখানে দুইজন শহিদুল আলমের কথা উঠে এসেছে:
১. ড. শহিদুল আলম (আলোকচিত্রী):
ড. শহিদুল আলম (জন্ম: ১৯৫৫) একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী আলোকচিত্রশিল্পী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। তিনি দৃক পিকচার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৮ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ‘টাইম বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি রসায়ন বিষয়ে পড়াশোনা করে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈব রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে দৃক ফটো গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ এশিয়ার ফটোগ্রাফি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ‘ছবিমেলা’রও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নেদারল্যান্ডসের ওয়ার্ডপ্রেস ফটো প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালে তিনি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির দূত হিসেবে নিযুক্ত হন।
২০১৮ সালের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের সময় আল-জাজিরার সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তিনি পরে জামিনে মুক্তি পান। তার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংস্থা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রতিক্রিয়া জানায়।
২. মো. শহিদুল আলম হাওলাদার (রাজনৈতিক কর্মী):
একজন রাজনৈতিক কর্মী যিনি পিরোজপুরের নাজিরপুরের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৪ সালের ঘর পোড়া মামলা এবং বিস্ফোরক আইনে মামলার আসামী হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
৩. মো. শহিদুল আলম তালুকদার (সাবেক সাংসদ):
পটুয়াখালীর বাউফলের বিএনপির সাবেক সাংসদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাকে নয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালত তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।