মো. ইরফান

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
নামান্তরে:
মো ইরফান
মো. ইরফান

চাঁদপুর নদীতে ৭ খুনের ঘটনার আসামি: মো. ইরফান

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে অবস্থিত ‘এমভি আল-বাকিরা’ নামক একটি কার্গো জাহাজে ৭ জনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মো. ইরফান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ইরফান ওই জাহাজে খালাসি হিসেবে কাজ করতেন। তিনি আকাশ মণ্ডল নামেও পরিচিত।

ঘটনার বিবরণ:

২০২৪ সালের ডিসেম্বরের ২২ তারিখ রাত থেকে ২৩ তারিখ দুপুরের মধ্যে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জাহাজটিতে ইউরিয়া সার বোঝাই ছিল। মোট ৯ জন কর্মী ছিলেন জাহাজটিতে। হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে জাহাজের মাস্টার, গ্রিজার, লস্কর, ইঞ্জিনচালক ও রান্নাঘরের কর্মীরা ছিলেন। একজন জাহাজের কর্মচারী, জুয়েল, গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হন এবং তিনি ঘটনার বর্ণনা দেন। তার বর্ণনা অনুযায়ী, ইরফানই হত্যাকাণ্ডের পিছনে মূল অভিযুক্ত।

ইরফানের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ:

২৫ ডিসেম্বর র‌্যাব ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান জানান, বেতন-ভাতা সংক্রান্ত বিরোধ ও রাগের কারণে তিনি এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। তিনি নিহতদের রাতের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন এবং পরে তাদের হত্যা করেছিলেন।

অন্যান্য তথ্য:

  • ইরফানের আসল নাম আকাশ মণ্ডল।
  • তিনি ভৈরবে নৌযানে কর্মরত অবস্থায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
  • ইরফানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক স্থান পরিদর্শন করে।
  • ইরফান হত্যাকাণ্ডের পর একটি নতুন জ্যাকেট কিনে পরেন ও ডিম-খিচুড়ি খান।

তদন্ত:

এই ঘটনার তদন্তে শ্রম মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত এখনও চলমান। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত কুঠার, ফোল্ডিং চাকু, মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। জাহাজটিতে কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না।

জুয়েলের সাক্ষ্য:

জুয়েলের সাক্ষ্য ঘটনার রহস্য উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি লিখিতভাবে ইরফানের নাম উল্লেখ করেছেন।

মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন:

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা ইরফানের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।

ধর্ম: মুসলিম (ধর্মান্তরিত)

বয়স: ২৬ বছর

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ৭ জনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মো. ইরফান গ্রেফতার
  • ইরফান ওই জাহাজে খালাসি হিসেবে কাজ করতেন
  • বেতন-ভাতা সংক্রান্ত বিরোধ ও রাগের কারণে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার
  • ইরফানের আসল নাম আকাশ মণ্ডল
  • পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মো ইরফান

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মো. ইরফান জাহাজে ৭ জনকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার পর ডিম খিচুড়ি ও জ্যাকেট কিনেছিলেন।