মো. আনোয়ার হোসেন: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
এই নামটি দিয়ে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করা হয়েছে। তাই, স্পষ্টতার জন্য, আমরা তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করব।
১. অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন (বিজ্ঞানী):
এম. আনোয়ার হোসেন (জন্ম ২০ আগস্ট ১৯৪৯) একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী, লেখক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এবং আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অফ বায়োকেমিস্ট্রি এবং আণবিক জীববিজ্ঞানের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, তার বড় ভাই কর্নেল আবু তাহেরের স্টাফ অফিসার ছিলেন। তার গবেষণা জৈব রসায়ন, উদ্ভিদ ফিজিওলজি, উদ্ভিদ আণবিক জীববিজ্ঞান এবং উদ্ভিদ এবং কোষ শারীরবৃত্তির উপর এবং তার রচনাগুলি বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
২. কাজী মো. আনোয়ার হোসেন (রাজনীতিবিদ):
কাজী মো. আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৫৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জশাতুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় পার্টি এবং পরবর্তীতে বিএনপিতে যুক্ত ছিলেন। ০৩ মার্চ ২০১৭ সালে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
৩. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (বীর মুক্তিযোদ্ধা):
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (জন্ম: ৫ মে ১৯৪৭ - মৃত্যু: ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া প্রথম বাঙালি সেনা অফিসার ছিলেন তিনি। তার বাড়ি ছিল চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার সোনাপুর গ্রামে।
৪. অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য):
একজন অনুজীব বিজ্ঞানী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার তাকে একুশে পদক-২০২২ দিয়েছে। তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি বাংলাদেশে জিনোম ও মাইক্রোবায়োম গবেষণা প্রতিষ্ঠায় অন্যতম পথপ্রদর্শক এবং করোনা অতিমারীর সময় করোনা পরীক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার জন্ম ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, এই তথ্যগুলি প্রদত্ত পাঠ্যের উপর ভিত্তি করে লিখিত। যদি আরও তথ্য প্রয়োজন হয়, আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করব।