বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল): একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) বাংলাদেশের একটি সরকারি মালিকানাধীন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর, এটি 'বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড' (বিটিটিবি) নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। জুলাই ১, ২০০৮ সালে বিটিটিবি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়ে বিটিসিএল নাম গ্রহণ করে। কোম্পানির আনুমানিক মূল্য ১৫,০০০ কোটি টাকা (১৫০ বিলিয়ন টাকা) এবং এতে ১২,৬৩৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত আছেন।
বিটিসিএল দেশের শহরাঞ্চলে ল্যান্ডলাইন টেলিফোন পরিষেবা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কলিং সুবিধা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে। ২০০৪ সালে সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলোকে পিএসটিএন লাইসেন্স প্রদান করেছিল, তবে ঢাকার বাজারে বিটিসিএলের একচেটিয়া ব্যবসা ২০০৭ সাল থেকে ভেঙ্গে পড়ে।
বিটিসিএল এর ইতিহাস ১৮৫৩ সালের ব্রিটিশ ভারতে 'ডাক ও টেলিগ্রাফ বিভাগ' এর অধীনে টেলিগ্রাফ শাখা প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে এটি 'পাকিস্তান টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন বিভাগ' হিসেবে পুনর্গঠিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে 'ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়' এর অধীনে 'বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন বিভাগ' স্থাপিত হয়, যা ১৯৭৫ সালে টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন বোর্ড হিসেবে কর্পোরেট সংস্থায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৭৯ সালে এটি 'বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন বোর্ড' (বিটিটিবি) নামে একটি সরকারী বোর্ডে রূপান্তরিত হয়।
বিটিসিএল গ্রাহকদের জন্য ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কল সেন্টার পরিচালনা করে। এছাড়াও, এটি ভিআইপিদের জন্য একটি বিশেষ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিচালনা করে। বিটিসিএল দেশের সকল জেলায় ডায়াল-আপ ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে এবং '.bd' ডোমেইন পরিচালনা করে। বিটিসিএল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা 'বি কিউব' এর মাধ্যমে প্রদান করে।
বিটিসিএল'র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক স্থাপন। এছাড়াও, বাংলাদেশের প্রথম উপগ্রহের দুটি মাটি স্টেশন বিটিসিএল এর জমি ব্যবহার করে গাজীপুরের জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় স্থাপন করা হবে।
বিটিসিএল'র আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন। আমরা যখন আরও তথ্য পাবো তখন আপনাকে আপডেট করব।