মেহেরপুর, বাংলাদেশ

আপডেট: ৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:০৭ এএম
নামান্তরে:
মেহেরপুর বাংলাদেশ
মেহেরপুর, বাংলাদেশ

মেহেরপুর: ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সম্মিলন

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল মেহেরপুর। ক্ষুদ্র কিন্তু গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অধিকারী এই জেলাটি ১৯৮৪ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া থেকে পৃথক হয়ে স্বতন্ত্র জেলার মর্যাদা পায়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মেহেরপুরের অবদান অসাধারণ; ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে, তৎকালীন ভবেরপাড়ার বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় এবং শপথ গ্রহণ করে।

প্রাচীন ইতিহাস: মেহেরপুরের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য সীমিত। জনশ্রুতি আছে রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে এখানে জনপদ গড়ে ওঠে। ঐতিহাসিক কুমুদনাথ মল্লিকের মতে, 'মিহির-খনার' নামানুসারে মিহিরপুর, অপভ্রংশে মেহেরপুর নামকরণ হয়েছে। আরেক মত অনুসারে, ১৬শ শতাব্দীর এক দরবেশ মেহের আলী শাহের নামানুসারে জেলার নামকরণ হয়েছে। প্রাচীনকালে এ অঞ্চল কখনো বাগোয়ান, কখনো রাজাপুর পরগণার অধীনে শাসিত হয়েছে। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের ফলে মেহেরপুর কোম্পানি শাসনের অধীনে চলে আসে।

মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর: মুক্তিযুদ্ধের সময় মেহেরপুরে বেশ কিছু যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে।

ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা: মেহেরপুর জেলা প্রায় ৭১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এটি কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে অবস্থিত। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, জেলার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৬৫৫,৩৯২।

অর্থনীতি: মেহেরপুর মূলত কৃষি প্রধান অঞ্চল। ধান, গম, পাট, আম, কলা, কাঁঠাল, শাকসব্জী ইত্যাদি কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়। ছোট ছোট তাঁতশিল্প ও কুটির শিল্প এখানকার অর্থনীতিতে অবদান রাখে।

শিক্ষা: জেলায় কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মেহেরপুর সরকারি কলেজ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ উল্লেখযোগ্য।

প্রকৃতি ও পর্যটন: মেহেরপুরের প্রকৃতির সৌন্দর্যও আকর্ষণীয়। নদ-নদী, বিল এবং সবুজ প্রকৃতি পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

আরো তথ্য: মেহেরপুরের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • মেহেরপুর বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের একটি জেলা।
  • ১৯৭১ সালে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।
  • মেহেরপুর কৃষি প্রধান অঞ্চল।
  • মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান।
  • জেলার ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।