মিসর সরকার

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৩ এএম

মিশর সরকার, যা আনুষ্ঠানিকভাবে মিশর আরব প্রজাতন্ত্রের সরকার নামে পরিচিত, উত্তর আফ্রিকার একটি আন্তঃমহাদেশীয় রাষ্ট্র। প্রাচীনকাল থেকেই মিশর একটি গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতার আধার হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ১৯৩৬ সালে আধুনিক মিশরের প্রতিষ্ঠার পর থেকে, এর সরকার ব্যবস্থা বেশ কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। বর্তমানে মিশর একটি আংশিক-রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্র এবং একটি এককক্ষিক আইনসভা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান।

মিশরের সরকারের ইতিহাস বিভিন্ন সাম্রাজ্য, রাজবংশ ও শাসকদের দ্বারা শাসিত সুদীর্ঘ। প্রাচীন মিশরের ৩১ টি রাজবংশের দীর্ঘ শাসন, ম্যাসিডোনীয়, রোমান, বাইজেন্টীয়, আরব উমাইয়া, আব্বাসিদ ও তুর্কি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে শাসন, ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী শাসন, রাজতন্ত্র ও সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে দেশটি আধুনিক প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে।

আধুনিক মিশরের ইতিহাসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রাষ্ট্রের গতিপথে প্রভাব ফেলেছেন। জামাল আবদেল নাসেরের নেতৃত্বে রাজতন্ত্র উৎখাত এবং প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, আনওয়ার সাদাতের সাথে ইসরাইলের সাথে শান্তিচুক্তি (ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি) স্বাক্ষর, ও হোসনি মুবারকের দীর্ঘ শাসনকাল উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি মিশরের রাষ্ট্রপতি।

মিশরের সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য, যেমন জাতিসংঘ, আরব লিগ, জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন, আফ্রিকান ঐক্য এবং ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা। মিশরের অর্থনীতি কৃষি, খনন ও শিল্পোৎপাদন এই তিনটি প্রধান খাতের উপর নির্ভরশীল। দেশটিতে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, সোনা উত্তোলনের পাশাপাশি তুলা, বস্ত্র ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদন করে। সুয়েজ খাল থেকেও মিশর অর্থনৈতিক লাভ করে। পর্যটন খাতটিও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মিশরের সরকারের কার্যকলাপ রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করে। বর্তমানে দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বেকারত্ব, দারিদ্র্য এবং ইসলামী উগ্রবাদ সহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মিশরের সরকারের অন্তর্নিহিত রাজনৈতিক ও সামাজিক গঠন এই চ্যালেঞ্জগুলোর সাথে কিভাবে মোকাবিলা করছে তার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। এই বিষয়ে আরও তথ্য প্রাপ্তির সাথে সাথে আমরা আর্টিকেলটি আপডেট করব।

মিশরের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং এর সাথে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তি, ঘটনা, স্থান এবং তথ্য সম্পর্কে আমরা একটি স্পষ্ট ও বিস্তারিত ছবি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে কিছু দিক যদি আরও স্পষ্ট করা প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা পরে তার উপর আলোকপাত করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • মিশর একটি আংশিক-রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্র।
  • রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান।
  • মিশরের অর্থনীতি কৃষি, খনন ও শিল্পোৎপাদনের উপর নির্ভরশীল।
  • সুয়েজ খাল এবং পর্যটন খাত অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ।
  • মিশর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মিসর সরকার

৯ জানুয়ারী ২০২৫

মিসরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসি মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সমঝোতা চাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

২০২৩

মিসর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপহার দেওয়া হয়েছে।