ঢাকা শহরের বেড়ে উঠা বেসরকারি হোস্টেলের অবস্থা ও মহিলা ও শিশু অধিদপ্তরের ভূমিকা:
সাম্প্রতিককালে ঢাকা শহরে বেসরকারি হোস্টেলের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের সুযোগ সীমিত হওয়ায় এ ধরনের হোস্টেলের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু অনেক হোস্টেলের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অতিরিক্ত ভাড়া, গাদাগাদি করে থাকা, পড়ার উপযুক্ত পরিবেশের অভাব ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৪ হাজার টাকা ভাড়ার একটি ফ্ল্যাটে ১০ জন ছাত্রী থাকে।
মহিলা ও শিশু অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির আওতায় সারা দেশে মাত্র ৯টি কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল পরিচালিত হয়, যাতে মোট ২,৭৩৮টি সিট রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ২.৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান থেকে আবাসন সুবিধা পেয়েছেন। এই সংকটের কারণেই বেসরকারি হোস্টেলের উত্থান ঘটেছে। মহিলা ও শিশু অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জাকিয়া আফরোজ উল্লেখ করেছেন যে, বেসরকারি হোস্টেলের নিবন্ধন এবং তদারকির ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, অধিদপ্তরের জনবল সংকট এবং অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক হোস্টেল গড়ে তোলা সহজ নয়। তবে, নতুন করে কয়েকটি জায়গায় সরকারি হোস্টেল বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।