মমিন: একাধিক অর্থ ও ব্যক্তিত্বের বর্ণনা
'মমিন' শব্দটির বাংলা ভাষায় একাধিক অর্থ ও ব্যবহার রয়েছে। এটি একটি আরবি শব্দ যার মূল অর্থ 'বিশ্বাসী'। ইসলাম ধর্মে, 'মমিন' শব্দটি দিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী, ইসলামের নীতি-নিয়ম অনুসারে জীবনযাপনকারী মুসলিম ব্যক্তিকে বোঝায়। কিন্তু প্রেক্ষাপেক্ষে এটি ব্যক্তি, সংগঠন, এমনকি স্থাপত্যের নাম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
মমিন হিসেবে ব্যক্তি:
এই লেখায় উল্লেখিত মমিনদের মধ্যে প্রধান ব্যক্তি হলেন আবদুল মমিন তালুকদার (১৯২৯-১৯৯৫)। তিনি ছিলেন একজন আইনজীবী ও রাজনীতিক। পাবনা জেলার বেলকুচিতে জন্মগ্রহণকারী এই ব্যক্তি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বি.এস-সি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা মমিন তালুকদার পূর্ব বাংলা ছাত্রলীগের পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিবনগর সরকারের গেরিলা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে মোটিভেশন অফিসার হিসেবে কাজ করেন এবং মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে নেপাল সফর করেন। স্বাধীনতার পর তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অন্যদিকে, মমিন উদ্দিন আকন (১৯১৩-?) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বুড়িরচর গ্রামের একজন ব্যক্তি, যিনি ১৯১৩ সালে নিজ বাড়িতে একটি কাঠের মসজিদ নির্মাণ করেন। এই মসজিদটি দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কাঠের তৈরি শিল্পসমৃদ্ধ মুসলিম স্থাপত্যকলা হিসেবে বিখ্যাত।
মমিন হিসেবে স্থাপত্য:
মমিন মসজিদ, পিরোজপুর: এই মসজিদটি মমিন উদ্দিন আকনের নির্মিত একটি ঐতিহাসিক কাঠের মসজিদ। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য যে, মমিন শব্দটির সাথে আরো অনেক ব্যক্তি, সংগঠন বা স্থাপত্য সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। এই লেখায় উল্লেখিত তথ্য সীমিত। আরো তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।