মনির আহমেদ নামটি একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনার সাথে সম্পর্কিত হওয়ায় তাদের পৃথকভাবে আলোচনা করা প্রয়োজন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দুইজন মনির আহমেদের কথা উঠে এসেছে:
মনির আহমেদ (বীর প্রতীক): বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন (জন্ম তারিখ অজানা)। তার পিতার নাম আলী আহমদ এবং মাতার নাম মানাফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ৩ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে তাকে মুক্তিবাহিনীর এস ফোর্সের ১১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি ভৈরব, আশুগঞ্জ, আখাউড়া এবং মাধবপুরে সাহসিকতার সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে ২৮ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মাধবপুরে সর্বাত্মক যুদ্ধে মনির আহমেদ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ক্ষুদ্র দলের নেতৃত্ব দিয়ে বীরত্বপূর্ণ লড়াই করেন। তার স্ত্রীর নাম জাহান আফরোজ বেগম এবং তাদের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
মনির আহমেদ (নিহত ব্যবসায়ী): মহেশখালীর শাপলাপুরের ষাইটমারায় চিংড়ি প্রজেক্টে কাজ করতেন। ৩ নভেম্বর ২০২৪ সালে ডাকাতদের গুলিতে নিহত হন (বয়স ৫০)। তিনি ওই প্রজেক্টের ব্যবসায়ী শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। তার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছে তার পরিবার।
মনির আহমেদ খান (বীর প্রতীক): আরেকজন মনির আহমেদ খান যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত। ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালীন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি আক্রমণের পর কৌশলে পালিয়ে যুদ্ধে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অভিযানে অংশগ্রহণ করে সাহসিকতার পরিচয় দেন। তার স্ত্রীর নাম বেনুআরা বেগম এবং তাদের এক ছেলে ছিল।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও মনির আহমেদ সম্পর্কে আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে, আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।