ভুয়া পুলিশ: একাধিক ঘটনার আলোকে
সম্প্রতি বাংলাদেশে ভুয়া পুলিশের নামে প্রতারণার ঘটনা বেড়েছে। এই ভুয়া পুলিশরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, যেমন চাঁদাবাজি, প্রতারণা, এবং জবরদখল। তারা নিজেদেরকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখায় এবং অর্থ আদায় করে। তাদের কাছে থাকে জাল পুলিশের পরিচয়পত্র, ওয়াকিটকি, এবং অন্যান্য সরঞ্জাম। এই প্রবণতা রোধে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
- ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪: ঢাকার কাশিপুরে অভিষেক সোম অভি (৩০) নামে এক ব্যক্তি নিজেকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করে গ্রেফতার হয়। তার কাছ থেকে জাল পুলিশের আইডি কার্ড, ওয়াকিটকি, এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
- ২ ডিসেম্বর, ২০২৪: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বাকির হোসেন (২৮) নামে এক ভুয়া পুলিশ এবং তার গাড়িচালক তবারক হোসেনকে বিজিবি আটক করে।
- ১০ নভেম্বর, ২০২৪: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে 'ভুয়া পুলিশ' আখ্যায় একজন আসল পুলিশ সদস্য ও তার এক বন্ধুকে মারধরের শিকার হতে হয়।
- ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় মো. সোহাগ (৪৫) নামে এক ভুয়া পুলিশ চাকরির প্রলোভনে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেফতার হয়।
প্রতিরোধের উপায়:
- সন্দেহজনক পুলিশের পরিচয় যাচাই করা।
- ভুয়া পুলিশের কাছে কোনো তথ্য প্রদান না করা।
- ভুয়া পুলিশের সঙ্গে কোনো ধরণের লেনদেন না করা।
- পুলিশের কাছে অবিলম্বে ঘটনাটি জানানো।
ভুয়া পুলিশের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।