বৈলতলী ইউনিয়ন: চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার অন্তর্গত বৈলতলী ইউনিয়ন, একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। প্রায় ৯.৫৫ বর্গ কিলোমিটার (২,৩৫৯ একর) আয়তনের এই ইউনিয়নে ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ২২,৬৫২ জন বাসিন্দা ছিলেন, যার মধ্যে পুরুষ ১১,১৭১ জন এবং মহিলা ১১,৪৮১ জন। ৪,৩৯৪ টি পরিবারের বসবাস এই ইউনিয়নে।
ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রতিবেশী ইউনিয়ন:
চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে অবস্থিত বৈলতলী ইউনিয়ন। উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। উত্তরে বরমা ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন, পূর্বে সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়ন, দক্ষিণে সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া, আমিলাইশ ও চরতী ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়ন অবস্থিত। সাঙ্গু নদী ইউনিয়নের দক্ষিণাংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
প্রশাসনিক বিভাগ:
চন্দনাইশ উপজেলার ৬নং ইউনিয়ন পরিষদ হিসাবে পরিচিত বৈলতলী ইউনিয়ন। চন্দনাইশ থানার আওতাধীন এই ইউনিয়নটি জাতীয় সংসদের ২৯১নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ এর অংশ। পূর্বে পটিয়া উপজেলার অংশ ছিল এবং ২১নং বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদ নামে পরিচিত ছিল।
নামকরণের ইতিহাস:
ব্রিটিশ আমলে, গ্রামের প্রচুর আম গাছের কারণে এর নামকরণ হয় বৈলতলী। আমের মুকুলকে স্থানীয় ভাষায় ‘বৈল’ বলা হয় এবং তাদের তলদেশে পড়ে থাকার কারণেই গ্রামের নাম হয়েছে বৈলতলী।
শিক্ষা ও অন্যান্য স্থাপনা:
বৈলতলী ইউনিয়নে ১টি ফাজিল মাদ্রাসা, ১টি কওমী মাদ্রাসা, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি কিন্ডারগার্টেন, ৪৭টি মসজিদ, ৩৪টি মন্দির এবং ১টি বিহার রয়েছে। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ছিল ৫৩.৪%।
যোগাযোগ ব্যবস্থা:
চন্দনাইশ-বৈলতলী, দোহাজারী-বৈলতলী এবং বরকল-বৈলতলী সড়ক ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থা। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা এবং আরকান এক্সপ্রেস বাস সার্ভিস প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম।
হাট/বাজার:
ইউনুছ মার্কেট (বাজার) এবং খোদার হাট বৈলতলী ইউনিয়নের দুটি প্রধান বাজার।
উপসংহার:
বৈলতলী ইউনিয়ন চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা তার ঐতিহাসিক নাম, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে উল্লেখযোগ্য।