বাহারুল আলম: বাংলাদেশ পুলিশের ৩৩তম মহাপরিদর্শক
বাহারুল আলম বাংলাদেশ পুলিশের একজন উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তা এবং বর্তমানে ৩৩তম মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে তিনি এই পদে নিয়োগ পান। আইজিপি হিসেবে নিয়োগের পূর্বে তিনি আইসিডিডিআর, বি-তে হাসপাতালের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন:
তার জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলায়। শৈশবে তিনি ময়মনসিংহ শহরের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইংরেজি মাধ্যমের মরিয়ম স্কুলে পড়াশোনা করেন। ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ৭৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে ১৯৭৫ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সকল বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি ঢাকার রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৪ সালে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেন। তবে চিকিৎসা পেশা ছেড়ে প্রশাসনে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ কর্মজীবন:
১৯৮৪ ব্যাচের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি পুলিশ কর্মজীবনে যোগদান করেন। ১৯৮৬-৮৭ মেয়াদে সাভারস্থ বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে রংপুর বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক হিসেবে নীলফামারী জেলা থেকে পুলিশ ব্যবহার করে রংপুর জেলায় জেএমবি'র বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে পুলিশ সদর দপ্তরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পুলিশ সংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সিনিয়র পুলিশ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো এবং সিয়েরা লিওনেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২০ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন:
তিনি ১৯৯২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং দুই কন্যার জনক।
উল্লেখযোগ্য অবদান:
বাহারুল আলমের পুলিশ কর্মজীবনে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনি দক্ষতা, সৎতা এবং দেশপ্রেমের জন্য পরিচিত।